বেঙ্গালুরু: নিজেদের আওতাধীন সমস্ত স্কুলের কর্মীদের মানসিক সুস্থতার পর্যালোচনা (সাইকোমেট্রিক ইভ্যালুয়েশন)-র নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৭ বছরেরপড়ুয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল সিবিএসই।  নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত কর্মীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন  ও মানসিক সুস্থতার পরীক্ষা করতে হবে স্কুলগুলিকে। স্কুলের বাস চালক, খালাসি, পিওন ও অন্যান্য সহায়ক কর্মীদের এই পরীক্ষার ব্যবস্থা সঠিক ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতে হবে।

১২ সেপ্টেম্বরের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, স্কুল চত্বরে কোনও পড়ুয়ার নিরাপত্তা ও সুবিধার ক্ষেত্রে কোনওরকম ত্রুটি থাকলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। শাস্তি হিসেবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের স্বীকৃতও বাতিল করা হতে পারে।

কোনও ব্যক্তির মানসিক ও আচার আচরণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে পর্যালোচনাকে সাইকোমেট্রিক ইভ্যালুয়েশন বলে।

সিবিএসই-র এই সার্কুলার সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। কোনও কোনও স্কুলের পদাধিকারী বলছেন, এ ধরনের পর্যালোচনা কারা করবে? এর মাপকাঠি কী? এই পর্যালোচনার পরও কিছু ঘটে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে?

আবার কেউ কেউ এই সার্কুলারকে স্বাগত জানিয়েছেন।

সিবিএসই এই নির্দেশ পালন করা হয়েছে কিনা, তা জানাতে দু মাসের সময়সীমা ধার্য করেছে।

বোর্ড স্কুলগুলিতে স্কুলচত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমীক্ষা করতেও বলেছে। স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি অনুসরণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।