হায়দরাবাদ: সিবিএসই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্তে আজ একটি কোচিং সেন্টারের মালিক, ১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী, কয়েকজন শিক্ষক সহ ২৫ জনকে জেরা করল দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


অন্যদিকে, দশম শ্রেণির অঙ্ক ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষা ফের নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা। এরই মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ও সিবিএসই-র চেয়ারপার্সন অনিতা কারওয়ালকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। জাভড়েকর আবার বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। অপরাধীরা ছাড় পাবে না। সোম বা মঙ্গলবার নতুন করে পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (অপরাধ) আর পি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এখন আমরা শুধু দিল্লিতেই তদন্ত করছি। সারা দেশে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর নেই। যদি দিল্লির বাইরেও কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের কথা জানা যায়, তাহলে সেখানে আমরা বিশেষ দল পাঠাব। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির অঙ্ক ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষার নির্দিষ্ট দিনের আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সাতজন কলেজপড়ুয়া সহ ১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী, পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অন্য দু’জন ছিলেন। কীভাবে প্রশ্ন ফাঁস হল, কীভাবে সেই প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া হল এবং এর ফলে কারা লাভবান হল, সেটা খুঁজে বার করাই আমাদের লক্ষ্য।’

এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেন, ‘চৌকিদার দুর্বল, তাই এত লিক হচ্ছে।’ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, তাঁরা জাভড়েকর ও অনিতাকে বরখাস্ত করা এবং হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। পাল্টা রাহুলকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘রাহুল গাঁধী তাঁর নিজের দিনগুলির কথা স্মরণ করছেন।’