নয়াদিল্লি: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে এখনও অন্তত ১২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড রয়েছে। সেগুলি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই তথ্যই দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।


এদিন মোদীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস)। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

সূত্রের খবর, বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রধানমন্ত্রীকে জানান, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর নতুন করে সেখানে অন্তত ১২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড তৈরি হয়েছে।

পাশাপাশি, ডোভাল আরও জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের টেরর লঞ্চপ্যাডগুলোয় জড়ো হয়েছে ১০০-র বেশি জঙ্গি। নিরাপত্তাবাহিনী একটু ঢিলে দিলেই নিয়ন্ত্রণরেখা পার হবে তারা।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যও এদিন পেশ করা হয় বৈঠকে। বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে পাকিস্তান চেষ্টা করছে, ভারতীয় সেনা কত সংখ্যায় কোথায় কোথায় মোতায়েন রয়েছে বুঝতে, যাতে সুযোগমত জঙ্গিদের এ দেশে ঢোকানো যায়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। ওই হামলায় ১৯ জন জওয়ান মোট শহিদ হন। জখম হন আরও অনেকে।

এরপরই প্রত্যাঘাত হিসেবে গত ২৮ তারিখ মধ্যরাতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে গোপনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে ৭টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে প্রায় ৪০ জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্যান্ডো-বাহিনী।

পাকিস্তান এদেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিয়ে এবং সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতের এই অভিযানের ‘বদলা’ নিতে পারে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভারতের অপারেশনের পর থেকেই পাক সেনার এদিক লক্ষ্য করে গুলিগোলা বর্ষণ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। এদিনের বৈঠকে নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি কথা হয়েছে অন্যান্য জায়গার অবস্থা নিয়েও।