নয়াদিল্লি:  কেন্দ্রের গবাদি-নির্দেশিকার জেরে ধাক্কা খাবে দেশের অর্থনীতি। মাংস ও চর্মশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দাবি ব্যবসায়ীদের। একই সুরে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও। বিজেপি অবশ্য মানতে নারাজ।

গবাদি পশু নির্দেশিকা নিয়ে এইমুহূর্তে কেন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে রাজ্য সরকার! মোদী সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে, দেশের মাংস এবং চামড়া ব্যবসা ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশের।

একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, ‘এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়িত...রুটি রোজগার জড়িত..তাদের ক্ষতি হবে....’

যদিও, বিজেপি এমনটা মানতে নারাজ।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য,  প্রতি বছর, বিভিন্ন চর্মজাত সামগ্রী রফতানি করে দেশের আয় হয় প্রায় ৪৫ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।

দেশের প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ এই চর্মশিল্পে জড়িত

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, গত দেড় বছর ধরেই গোহত্যা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে কাঁচা চামড়ার জোগানে টান পড়েছে বলে অভিযোগ চর্মশিল্প মহলের।

দেশ জুড়ে প্রায় ১৫০০ ট্যানারি মার খাচ্ছে।

সব মিলিয়ে এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১০ লক্ষের বেশি মানুষের রোজগার।

কাঁচা চামড়ার সরবরাহে টান পড়ায় ধুঁকছে কলকাতা থেকে কোলাপুর, চেন্নাই থেকে কানপুরের মতো চর্মশিল্পের বিভিন্ন কেন্দ্র। কাঁচা চামড়ার অভাব পূরণ করতে আমদানি বাড়ছে বলে দাবি কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান রমেশ জুনেদার।

তিনি বলছেন, ‘‘ঘাটতি মেটাতে তৈরি-চামড়ার আমদানি বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এক লাফে চামড়ার রফতানি বাড়িয়ে নিয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।’’

তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, বছরে ভারতীয় চর্মশিল্পের ৩০০ কোটি বর্গফুট চামড়া প্রয়োজন।

আমদানির বাড়বাড়ন্তে রুজি-রুটি হারাচ্ছে কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত লক্ষাধিক শ্রমিক।

কাঁচা চামড়া থেকে ধাপে ধাপে তৈরি-চামড়ার উৎপাদন প্রক্রিয়াটাই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।

ফলে দেশ জুড়ে প্রায় দু’লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এই পরিস্থিতিতেই গবাদি পশু নির্দেশিকা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা।