নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র ও অসম সরকারের তরফে আবেদন করা হল, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চূড়ান্ত করার ৩১ জুলাইয়ের সময়সীমা বাড়ানো হোক। এনআরসি থেকে অন্যায় ভাবে অনেকের নাম বাদ যেমন পড়েছে, তেমনই অনেকের নাম ঢুকেছে বলে অভিযোগ পেশ হয় শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্র, অসম সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চকে বলেন, ভুল করে এনআরসি-তে নাম ঢোকানো, বাদ দেওয়ার জন্য তালিকায় ২০ শতাংশ যেখান-সেখান থেকে খুশি নেওয়া নমুনা খতিয়ে দেখার অনুমতি দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালতই এর আগে ৩১ জুলাই চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশের দিন স্থির করেছিল। মেহতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নমুনা সমীক্ষার আবেদনটি বিচার করে দেখার জন্য ২৩ জুন দিনটি ধার্য্য করল বেঞ্চ।
সলিসিটর জেনারেল বলেন, অনুগ্রহ করে অসমের চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের সময়সীমা ৩১ জুলাইয়ের পর কোনও দিন স্থির করুন। কেননা বহু নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অনেক বেশি নতুন নাম ঢোকানো হয়েছে, এমন একটা ধারণা জোরদার হচ্ছে। ভারত দুনিয়ার উদ্বাস্তুদের রাজধানী হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। নমুনা খতিয়ে দেখার মাধ্যমে খসড়া এনআরসি নতুন করে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে বলেও অভিমত জানান। তাঁর দাবি, স্থানীয় অফিসাররা জড়িত থাকায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কয়েক লক্ষ লোকের নাম ভুল করে এনআরসি-তে তোলা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই কেন্দ্র ও অসম সরকার সর্বোচ্চ আদালতে অসমের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে চূড়ান্ত খসড়া এনআরসি-তে ওঠা নামের ২০ শতাংশ নমুনা ও বাকি জেলাগুলিতে ১০ শতাংশ নমুনা খতিয়ে দেখার আবেদন জানায়।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে অসমে এনআরসির প্রথম খসড়া বেরয় ২০১৭-র ৩১ জানুয়ারির মধ্যরাতে। তাতে ৩ কোটি ২৯ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে ১ কোটি ৯০ লক্ষের নাম ওঠে।