নয়াদিল্লি: নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, কিন্তু সবক্ষেত্রে এটি মৌলিক অধিকার হতে পারে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের বেঞ্চে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেছেন, ‘গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার। কিন্তু গোপনীয়তার অনেক দিক রয়েছে। ফলে গোপনীয়তার সব দিকই মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য হতে পারে না।’

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, গোপনীয়তা সাধারণ আইনগত অধিকার। এটি মৌলিক অধিকার নয়। পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, পঞ্জাব ও পুদুচেরি সরকার কেন্দ্রের এই অবস্থানের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে। এই চারটি রাজ্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, আধুনিক যুগে প্রযুক্তিগত উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করা উচিত আদালতের। গোপনীয়তা সার্বভৌম অধিকার হতে পারে না। তবে এটি অবশ্যই মৌলিক অধিকার। আদালতকে এ বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।