নয়াদিল্লি: সম্প্রতি মার্কিন কোম্পানি ফাইজার জানিয়েছিল তাদের করোনা টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। এবার সেই টিকা মজুত করার পরিকাঠামো প্রসারের বিষয়ে সম্ভাব্য সকল দিক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। করোনা প্রতিষেধক মজুত করার ক্ষেত্রে দেশে কোল্ড চেনের কী ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সঠিক তাপমাত্রায় করোনা টিকা মজুত করা বা সংরক্ষণ করা যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তা আগেও জানিয়েছেন এ দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কম তাপমাত্রায় করোনা টিকা সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) চিকিৎসক ভি কে পল জানিয়েছেন যে কোনও দেশের পক্ষে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি বা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কোল্ড চেইনের সুবিধা বজায় রেখে টিকা মজুতের পরিমাণ বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেছেন, ’’এই পরিস্থিতির কথা জেনেও আমরা দেখছি কী ভাবে করোনা টিকা মজুতের পরিমাণ বাড়ানো যায়। এই (ফাইজার) টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পর্ব এবং তার ফলাফলের দিকে্ নজর রাখছি। আমরা এটাও জানি দেশের জনসংখ্যার তুলনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক এই প্রতিষেধক পাওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই প্রতিষেধক কেনে তা হলে সমান্তরাল ভাবে তা মজুতের ব্যবস্থাও হবে।‘‘
করোনা টিকা নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভি কে পল। তিনি জানিয়েছেন ভারতে পাঁচটি করোনা প্রতিষেধক খুব আশাব্যঞ্জক জায়গায় রয়েছে। এই পাঁচ প্রতিষেধকের মধ্যে দুটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্বে রয়েছে। চিকিৎসক ভি পলের কথায়,’’ কোভিড ১৯ টিকা তৈরির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের অন্যতম দেশ। ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল দেখা যাচ্ছে। সিরাম-অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের শে্য স্তরে রয়েছে। ভারত বায়োটেকের টিকা তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করেছে। দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালের ফল যে কোনও সময় ঘোষণা করা হবে। জাইডাস ক্যাডিলা দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষ করে ফেলেছে।‘‘
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ডক্টর রেড্ডির ল্যাবরেটরির সঙ্গে যৌথভাবে করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছে রাশিয়া। তারাও খুব শীঘ্র দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে। বায়োলজিকাল ই করোনা টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে।