নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলনে কি আজ ইতি পড়তে পারে? এই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী? এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা। গতকাল তাঁদের সঙ্গে দশম রাউন্ডের বৈঠকে কেন্দ্র প্রস্তাব দিয়েছে, এই আইন তারা এক থেকে দেড় বছর স্থগিত রাখার জন্য তৈরি। সে ব্যাপারে আজ বেলা ১১টায় সিঙ্ঘু সীমানায় পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠক।

এই বৈঠক মিটে গেলে বেলা দুটোয় বৈঠকে বসবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেখানে ঠিক হবে, সরকারের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হবে না প্রত্যাখ্যান করা হবে। এরপর আগামীকাল বেলা বারোটায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ফের কেন্দ্রের সঙ্গে একাদশতম রাউন্ডের বৈঠকে বসবে। সেই বৈঠকেই নেওয়া হবে আন্দোলন চলবে, না বন্ধ হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত।



দিল্লি সীমানায় টানা কৃষক আন্দোলনে বেশ কিছুদিন ধরে অস্বস্তিতে কেন্দ্র। প্রচণ্ড শীতে পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা দিল্লি সীমানায় বসে আছেন, ঠান্ডায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কৃষকদের কাছে এক বড় প্রস্তাব রেখেছে। বলা হয়েছে, তারা কৃষি আইন এক থেকে দেড় বছর স্থগিত রাখতে তৈরি। কৃষকদের বিশ্বাস জিতে নিতে তারা সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে এফিডেভিট দিতেও তৈরি বলে জানিয়েছে। কেন্দ্র প্রস্তাব দিয়েছে, কৃষক ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা একটি কমিটি তৈরি করে বিতর্ক মিটিয়ে নিন।

বুধবার দশম রাউন্ডের কেন্দ্র-কৃষক বৈঠকও শেষ হয় কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছে। কিন্তু কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার বিজ্ঞান ভবন থেকে বেরিয়ে এলে তাঁর মুখে প্রথমবার হাসি দেখা যায়। সম্ভবত তার কারণ ছিল, বৈঠকে কৃষকদের সুর নরম হওয়া। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আশা করছি ২২ তারিখ সমস্যা মিটে যাবে। গতকাল বৈঠক হয় নরমে গরমে। কৃষক নেতারা কৃষি আইন ও এমএসপি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কৃষক নেতাদের NIA নোটিস পাঠানো নিয়েও কথা বলেন। কেন্দ্র তাঁদের আশ্বাস দেয়, ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না।

সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইনের ওপর গঠিত কমিটি আজ থেকে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে। বেলা ১১টা. রাষ্ট্রীয় কৃষি বিজ্ঞান পরিসরে হবে এই বৈঠক। যদিও এই কমিটির তেমন মূল্য আর নেই কারণ কৃষকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা শুধু সরকারের সঙ্গেই কথা বলবেন।