নয়াদিল্লি: ভারত-পাক ৩,৩২৩ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত ঘিরতে নৈতিকভাবে সম্মতি দিল কেন্দ্র। বেড়া দেওয়ার সময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের কোনও আপত্তি নেই। এ বছরের শুরুতে পাঠানকোট হামলার পর এপ্রিলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব মধুকর গুপ্তের গঠিত হয় একটি কমিটি। সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস কীভাবে রোখা যায়, তার পন্থা খোঁজার চেষ্টা করে তারা। ১৮ তারিখের উরি সন্ত্রাসের কয়েকদিনের মধ্যেই ওই কমিটি রিপোর্ট পেশ করেছে।


পাকিস্তানের সঙ্গে চারটি রাজ্যে সীমান্ত রয়েছে ভারতের- জম্মু কাশ্মীর, রাজস্থান, পঞ্জাব ও গুজরাট। কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, সীমান্তে গ্রিড নির্ভর সিস্টেম বসানোর জন্য। পাশাপাশি সীমান্ত পাহারায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য পাবে বিএসএফ ও সেনা। ৪ রাজ্যেই সীমান্ত পাহারার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্য নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যখনই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হবে, গ্রিড থেকে সাবধানবার্তা পাবে অন্যরা।

এ ব্যাপারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, আইবি ও র প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহঋষির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কমিটি প্রধান মধুকর গুপ্তও ছিলেন বৈঠকে। সেখানে ঠিক হয়েছে, গ্রিড নির্ভর ওই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা হবে।

কমিটি আরও প্রস্তাব দিয়েছে, যে সব জায়গা দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেশি, সেখানে নিরাপত্তারক্ষী বেশি করে মোতায়েন করার জন্য। অন্য জায়গায় স্মার্ট ফেন্সিংয়ে কাজ চললেও যেখানে তা সম্ভব নয়, সেখানে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে সীমান্ত পাহারায় ১০০জন দরকার, সেখানে তাই দিতে হবে। আবার যেখানে দু’জন হলেই কাজ চলে যায়, সেখানে খামোখা নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার নেই।

স্মার্ট ফেন্সিং ছাড়াও জল, বিদ্যুতের ব্যবহার, মাটির তলায় সেন্সর ও ক্যামেরা দিয়ে নজরদারির পক্ষে কমিটি সওয়াল করেছে। রাডারের ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষেও মত দিয়েছে তারা।