আপ এতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, এটা রুটিন ব্যাপার। আপের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দলের কাছেও বিদেশি অনুদান পাওয়ার ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রক এও বলেছে, এটা কোনও শো কজ নোটিসও নয়, আপের বক্তব্য পাওয়ার পরই এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
আপ অবশ্য এর পিছনে অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, রাজনৈতিক ভাবে টার্গেট করা হয়েছে তাদের। দোষ খুঁজে বেড়ানোর পালা চলছে। এটা তার পরিষ্কার উদাহরণ। সব এজেন্সিকে কেন্দ্রের নির্দেশে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে আপ, তাদের পরিচালিত দিল্লি সরকার ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে, যা গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক।
তাদের কিছুই লুকনোর নেই, তারা যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে, সহযোগিতা করতে তৈরি বলে জানিয়েছে আপ। বিবৃতিতে বলেছে, এটা এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকই অতীতে হাইকোর্টে আমাদের ক্লিনচিট দিয়েছিল, অথচ এখন তারাই নতুন করে নোটিস পাঠাচ্ছে আমাদের।
গতকালই আপ দাবি করেছিল, কেন্দ্র সিবিআইকে কেন্দ্র ব্যবহার করছে তাদের নেতাদের নিশানা করে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের কাছের লোক বলে পরিচিত দিল্লির প্রাক্তন সচিব তরুণ সিমের বাসভবনে গতকালই সিবিআই অভিযান হয়। তিনটি কোম্পানিকে নিয়ম ভেঙে তিনি সাড়ে ১০ কোটি টাকার একটি বরাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।