নয়াদিল্লি:ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিধায়ক, সাংসদদের সারা জীবন ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সওয়াল করল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান আইনে কোনও সাংসদ বা বিধায়ক নৈতিক পদস্খলন বা জঘন্য অপরাধে দোষী ঘোষিত হলে ৬ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।


বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় এমন জনপ্রতিনিধিদের ওপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জনস্বার্থ পিটিশন পেশ করেছেন। তারই শুনানি ছিল আজ।

বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি নবীন সিনহাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ শুনানিতে ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের ঘোষণা করা ১৫৮১টি মামলার ব্যাপারে কেন্দ্রকে বিস্তারিত তথ্য পেশ করতে বলেছে। এর মধ্যে কটি মামলার এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে, কটি মামলায় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বা রেহাই পেয়েছে, তাও জানাতে বলেছে বেঞ্চ।

২০১৪ সাল থেকে এপর্যন্ত রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলা, সেগুলির কটি মিটে গিয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে বেঞ্চ।

কেন্দ্রের পক্ষে বলা হয়, রাজনীতিকে সম্পূর্ণ অপরাধমুক্ত করতে হবে। রাজনীতিবিদদের জড়ানো মামলাগুলির দ্রুত মীমাংসায় বিশেষ আদালত গঠনে আপত্তি নেই সরকারের। নির্বাচন কমিশন ও আইন কমিশন অপরাধ মামলায় দোষী রাজনীতিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে সারা জীবনের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর যে সুপারিশ করেছে, তাও সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।

বেঞ্চ ৬ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে বিশেষ আদালত গড়ার ব্যাপারে বিস্তারিত স্কিম ও এজন্য কত অর্থ বরাদ্দ হতে পারে, তা জানাতে বলেছে। ১৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

এর আগে জুলাই মাসে ওই বিজেপি নেতার পিটিশনের ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে না পারায় শীর্ষ আদালতে তিরস্কৃত হয়েছিল কমিশন।

সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন পেশ করে দাবি তোলা হয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে পদে থাকা যাবে না বলে দেশের বিচার বিভাগে চালু বিধি মেনে রাজনীতিকদের বেলায়ও আজীবন ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।

কমিশন ও কেন্দ্রের অবস্থানে লালুপ্রসাদ যাদবের মতো বড় মাপের নেতাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে। ১৭ বছরের পুরানো পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী ঘোষিত হওয়ায় ২০১৩-র অক্টোবরে পাঁচ বছরের কারাবাস হয় রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সভাপতির।