টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার। তুখোড় ফর্মে ওপেনিং জুটি। গত ম্যাচে ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল রোহিত-শিখর যুগলবন্দি। মিডল অর্ডারে যুবরাজের ভিন্টেজ ব্যাটিং শো। বিরাট কোহালি বরাবরই লঙ্কাবাহিনীর কাছে নেমেসিস। ৭ নম্বরে নেমে হার্দিকের পাওয়ার হিটিং। সুযোগ পেলে ধোনিও যে বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।নামের প্রতি সুবিচার করেছেন বোলাররাও। ভুবির স্যুইং, উমেশের গতি, জসপ্রীত বুমরাহর ডেথ বোলিং ম্যাথিউস, চান্ডিমলদের নাজেহাল করার জন্য যথেষ্ঠ।
জয়বর্ধনে, সঙ্গকারা অবসর নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তাঁদের বিকল্প খুঁজে পায়নি শ্রীলঙ্কা। প্রতিভার খরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রোটিয়াদের কাছে ৯৬ রানে হার। তার উপর উপল থরঙ্গার উপর দু’ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ম্যাথিউসের কপালের ভাঁজ আরও বাড়িয়েছে। বৃষ্টি বাধা না হলে, বা অলৌকিক কিছু না ঘটলে ওভাল-ম্যাচ হাসতে হাসতে পকেটে পোরার কথা বিরাটের। তবে, খেলাটার নাম ক্রিকেট। যে কয়েনের আর একটা পিঠ অনিশ্চয়তায় ভরা।
অধিনায়ক কোহলিও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে কোহলি বলেছেন, আইসিসি টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্স কিন্তু উল্লেখকরার মতো। বিগত কয়েক বছরের রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে শ্রীলঙ্কা সবসময়ই সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
সহ খেলোয়াড়দের সতর্ক করে কোহলি বলেছেন, শ্রীলঙ্কা দলে প্রতিভাধর ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। হতে পারে তারা তরুণ দল। কিন্তু লঙ্কা দলে এমন খেলোয়াড় রয়েছেন যাঁরা ম্যাচ জেতাতে পারেন।
কোহলি পুরো আগ্রাসন নিয়েই দল মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আক্রমণাত্মক হয়ে খেলে ম্যাচ শেষ করার প্রয়োজন।