চণ্ডীগড়: করোনা লকডাউনের জেরে প্রথা মেনে শেষকৃত্য করা যাচ্ছে না। মৃতদেহ দাহ করা হলেও অস্থিভস্ম জলে ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি পালনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না পরিবারের সদস্যদের। তাই শ্মশানেই জড়ো হচ্ছে অস্থিভস্মের কলস। সেগুলো রাখার জায়গা পাওয়া দায়। বাধ্য হয়ে খুদে খেলোয়াড়দের লকারেই তা রাখার ব্যবস্থা করা হল চণ্ডীগড়ে!

চণ্ডীগড়ের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে বাচ্চাদের লকার। সেখানে তাদের খেলাধুলোর সরঞ্জাম রাখা হয়, আর পাঁচটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের লকারের মতোই। আপাতত অস্থিভস্ম রাখার জন্য সেগুলিকে শ্মশানে পাঠানো হয়েছে!

রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের সচিব কে কে যাদব সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সেক্টর ২৩ স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে ৩৬টি লকার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাদব বলেছেন, ‘লকার পাওয়া যাবে, এরকম আরও স্পোর্টস কমপ্লেক্স খুঁজে বার করছি আমরা। এখন যেহেতু খেলাধুলো বন্ধ আর বাচ্চারাও আসছে না, আমাদের মনে হয়েছে লকারগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। লকডাউন উঠে গেলে সেগুলো আবার যথাস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।‘

গোটা ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে, অস্থিভস্ম রাখার পর সেই লকারগুলো কি ফের বাচ্চাদের ব্যবহারের জন্য ফেরানো উচিত? প্রশাসনের তরফ থেকে স্যানিটাইজেশনের কথা বলা হলেও তাতে কি পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত থাকা সম্ভব? প্রশ্ন উঠছে।

সেক্টর ২৫ শ্মশানের পুরোহিত জানিয়েছেন, প্রায় দেড়শোজনের অস্থিভস্ম জমে গিয়েছে। মনিমাজরা শ্মশানের ছবিটাও এক। শ্মশানের এক কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, যেহেতু প্রচুর দেহ রোজই দাহ করা হচ্ছে, তাই মৃতদের অস্থিভস্ম মিশে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই লকার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত। প্রত্যেক পরিবারের হাতে এক একটি লকারের চাবি তুলে দেওয়া হচ্ছে যেখানে রাখা থাকছে তাদের প্রিয়জনের অস্থিভস্মের কলস। লকডাউন উঠে গেলেই সমস্ত অস্থিভস্ম রীতি মেনে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। তারপর লকারগুলো স্যানিটাইজ করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ওই কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, শ্মশানে পিপুল গাছের নীচে অস্থিভস্মের কলসগুলো রাখা হয়েছিল। তবে বৃষ্টিতে সেগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পুরোমাত্রায়। তাই লকারে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।