চেন্নাই: মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামীই আস্থাভোটে জিতলেন। ২৩৪ সদস্যের বিধানসভায় আস্থাভোটে জিততে তাঁর লাগত অন্তত ১১৭জনের সমর্থন। ১২২জনের সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দখলে রেখেছেন তিনি। বিপক্ষে ও পনীরসেলভম শিবির পেয়েছে মাত্র ১১টি ভোট।


আজ সকালে আস্থাভোটের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসলে ডিএমকে বিধায়কদের হট্টগোলের জেরে অধিবেশন বেলা একটা পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায়। ডিএমকে দাবি করে, ভোট করতে হবে গোপন ব্যালটে। বিধানসভার অধ্যক্ষ পি ধনপাল তাতে রাজি না হওয়ায় কাগজ ছিঁড়ে, চেয়ার ভেঙে, মাইক্রোফোন উপড়ে ফেলে প্রচণ্ড ঝামেলা পাকান বিধায়করা। হট্টগোলের জেরে অধ্যক্ষ বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন, অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায় বেলা ১টা পর্যন্ত। কিন্তু ফের অধিবেশন বসলেও হইচই থামেনি। অধ্যক্ষ ডিএমকে বিধায়কদের সভা থেকে বহিষ্কার করলেও তাঁরা সভা ছাড়তে অস্বীকার করেন। ফলে আস্থাভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায় বেলা ৩টে পর্যন্ত।

পালানিস্বামীর প্রতিপক্ষ ও পনীরসেলভমের সঙ্গে ছিল ১১জন বিধায়কের সমর্থন। তবে বিরোধী ডিএমকে ও কংগ্রেস সমর্থন করে তাঁকে। ডিএমকে-র ৮৮জন বিধায়কের ভোটাভুটিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কংগ্রেসের ৮ ও এক আইইউএমএল বিধায়কেরও ভোট দেওয়ার কথা ছিল পালানিস্বামীর বিপক্ষে।  সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ১২২জনের সমর্থন থাকলেও বিপক্ষও নেহাত কমজোর ছিল না, তাঁরাও ১০৯।  কিন্তু ডিএমকে বিধায়করা বহিষ্কৃত হওয়ায় তাঁরা আর ভোটে যোগ দিতে পারেননি। কংগ্রেসও বয়কট করে ভোটাভুটি। ফলে পালানিস্বামীর জয়ের পথ সুগম হয়ে যায়।

আজ সকালে বিধানসভার অধিবেশন বসলে ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন প্রশ্ন তোলেন, এত তাড়াতাড়ি আস্থাভোট করানোর দরকার পড়ল কেন, রাজ্যপাল যেখানে এ জন্য ১৫দিন সময় দিয়েছেন। দাবি করেন, ভোট হোক গোপন ব্যালটে, ফ্লোর টেস্ট হোক আর একদিন। বিধায়কদের সঙ্গে কয়েদিদের মত আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এরপর গোপন ব্যালটের দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন ডিএমকে বিধায়করা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এআইএডিএমকে-র ও পনীরসেলভমের সমর্থনে হইচই শুরু করেন তাঁরা। আবার পালানিস্বামী সমর্থক বিধায়করা শুরু করেন বিপক্ষে স্লোগান। অভিযোগ, টানাটানির চোটে তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়।