নয়াদিল্লি: চলে গেলেন দক্ষিণ ভারতের ‘অগ্নীশ্বর’! দশ টাকার ডাক্তার। এমনিতে চেন্নাইয়ের এই চিকিৎসকের পারিশ্রমিক ১০০ টাকা। কিন্তু গরিব মানুষ দিতে না পারলে তিনি নেন মাত্র ১০ টাকা। এটাই ছিল তাঁর নিয়ম। এজন্য ‘দশ টাকার ডাক্তার’ বলে পরিচিত ছিলেন ডঃ সি মোহন রেড্ডি। ভিল্লিভাক্কামে চালাতেন মোহন নার্সিংহোম। লকডাউনেও রোগী দেখেছেন। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়েও ফিরেও আসেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মারা গেলেন ৮৪ বছর বয়সি এই চিকিৎসক।


গত ২৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডঃ রেড্ডিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে আসেন। কিন্তু তারপরও কাটল না বিপদ।

১৯৩৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ রেড্ডি। গুডুর অঞ্চলের একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে স্নাতক হন কিলপুক মেডিক্যাল কলেজ থেকে। পরে তিনি চলে আসেন তামিলনাড়ুতে। রেড্ডি। ভিল্লিভাক্কামে চালু করেন মোহন নার্সিংহোম।৩০টি বেড নিয়ে শুরু হওয়া সেই নার্সিংহোমে অবারিত দ্বার ছিল গরিব মানুষের। আমৃত্যু তিনি গরিব মানুষের চিকিৎসা করে গিয়েছেন। বিয়ে করেননি। হাসপাতালেই থাকতেন। রোগী দেখার কোনও নিয়ম বা সময় ছিল না। দিনের যে কোনও সময়ে তাঁর দরজা খোলা থাকতো। বৃদ্ধ বয়সকে উপেক্ষা করে লকডাউনেও খোলা রেখেছেন, রোগী দেখেছেন তিনি। তাঁর ভাই ডঃ সিএমকে রেড্ডি জানান, দাদা নিজে কোভিড আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন, এই ভাবনাকে আমলই না দিয়ে রোগীদের জন্য লকডাউনেও চেম্বার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ভিল্লিভাক্কমের বিধায়ক রঙ্গনাথন প্রয়াত চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধা জানান, ট্যুইট করেন, ডঃ সি মোহন রেড্ডি একজন মহান মানুষ ছিলেন। ভিল্লিভাক্কমের গরিব মানুষের চিকিৎসার জন্য ওঁর অবদান কোনওদিন ভোলা যাবে না। তিনি ঈশ্বরের কাছে ফিরে গেলেন।