চেন্নাই: মোবাইল ফোনে অশ্লীল কথাবার্তা। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো একের পর এক পর্নোগ্রাফি। প্রতিবাদ করে ফোন কেটে দিলে বা নম্বর ব্লক করে দিলে নতুন নতুন নম্বর থেকে বিব্রত করা। ভুক্তভোগী মহিলা অবশেষে অপরাধীকে হাতেনাতে পাকড়াও করতে দিলেন মোক্ষম চাল। দেখা করার প্রস্তাব দিলেন। সেই টোপ গিলে মহিলার বাড়িতে হাজির হতেই ধরা পড়ে গেলেন অভিযুক্ত যুবক!


ঘটনাটি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের। অভিযোগ, এক মহিলাকে ফোন করে দিনের পর দিন উত্যক্ত করতেন এক যুবক। স্বামীর সঙ্গে বিবাদের কারণে ওই মহিলা বছর চারেক ধরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছিলেন। একদিন তাঁর মোবাইলে অপরিচিত এক যুবকের ফোন আসে। মহিলা জানতে পারেন, ওই যুবকের নামে বিমলরাজ। বয়স ২৯ বছর। তিনি ফোন কেটে দিলে ওই যুবক নিত্যনতুন নম্বর থেকে ফোন করতে থাকেন। চলতে থাকে অশ্লীল কথাবার্তা। হোয়াটসঅ্যাপে ওই মহিলাকে পর্নোগ্রাফিও পাঠানো হয়।

অবশেষে ভুক্তভোগী মহিলা তাঁর পরিবারকে গোটা ঘটনা জানান। তারপর পরিকল্পনামাফিক ওই যুবকের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে দেখা করতে চান। অভিযুক্ত যুবক ওই মহিলার বাড়িতে যায়। মহিলার পরিবারের অন্য সদস্যরা তখন একটি ঘরে লুকিয়ে ছিলেন। তাঁরা ওই যুবককে হাতেনাতে ধরেন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই যুবককে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক একটি ই-কমার্স সংস্থায় চাকরি করে। পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, মহিলাদের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁদের উত্যক্ত করা তার নেশা! তবে অভিযোগকারিণী ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের দাবি, গোটা ঘটনায় তাঁর স্বামীর হাত থাকতে পারে। সে দিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।