নয়াদিল্লি: প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে বিদেশে কালো টাকা রাখার অভিযোগ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁর কটাক্ষ, এটা কংগ্রেসের কাছে ‘নওয়াজ শরিফ মুহূর্ত।’ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন নির্মলা। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, যিনি নিজেও আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন, তাঁর বলা উচিত, দলের এক নেতার বিষয়ে তদন্ত করবেন কি না। চিদম্বরম আয়কর দফতরের কাছে বিনিয়োগের হিসেব দেননি। তিনি কালো টাকা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিদেশে গোপনে বেআইনিভাবে টাকা রাখা ভারতীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই আইন এনেছে মোদী সরকার। আয়কর দফতরের কর্তাদের সন্দেহ, ১৪টি দেশের ২১টি ব্যাঙ্কে চিদম্বরম ও তাঁর পরিবারের লোকজনের অ্যাকাউন্ট আছে। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে তাঁদের আনুমানিক ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আছে।’



বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও কালো টাকা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘এই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সনিয়া গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনে বাধা দিয়েছেন। তাঁরা কী করে নিজেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন? কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মোদী সরকার প্রথমেই সিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।’



শুক্রবার চেন্নাইয়ের একটি বিশেষ আদালতে চিদম্বরম, তাঁর স্ত্রী নলিনী, ছেলে কার্তি, জামাই শ্রীনিধি ও কার্তি যুক্ত আছেন এমন একটি সংস্থার বিরুদ্ধে বিদেশে কালো টাকা রাখা সংক্রান্ত আইনে মামলা দায়ের করেছে আয়কর দফতর। চিদম্বরমরা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে বিজেপি এই ইস্যু হাতছাড়া করতে নারাজ।
পাল্টা রাফালে চুক্তি নিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। চিদম্বরমের বিরুদ্ধে বিদেশে কালো টাকা রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, ‘৩৬টি রাফালে কত দামে কেনা হয়েছে, সেটা প্রকাশ করার জন্য প্রতিরক্ষা সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কিন্তু পরে তিনি বলেন, এটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন বিষয়। তাই প্রকাশ্যে আনা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন ৫৮,০০০ কোটি টাকার রাফালে দুর্নীতি নিয়ে নীরব? সংসদীয় কমিটিকে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মাত্র ৮ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের যোগ্য। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রের অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’