নয়াদিল্লি: এয়ারসেল ম্যাক্সিস বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লি হাইকোর্টে পি চিদম্বরম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আগাম জামিন চাইলেন বিশেষ বিচারক ও পি সাইনির কাছে, যিনি তাঁকে ৫ জুন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছে হাজিরা দিতে বলেন। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন ইউপিএ জমানার মন্ত্রী চিদম্বরমকে আগেই তলব করেছিল ওই তদন্ত সংস্থা।
পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট ইডি-কে নোটিস পাঠিয়ে ৫ জুন নাগাদ তাদেরও জবাব পাঠাতে বলেছে, সেইসঙ্গে ততদিন এ ব্যাপারে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করেছে এজেন্সিকে।
চিদম্বরমের আবেদনের স্বপক্ষে দুই পদস্থ আইনজীবী কপিল সিবল ও অভিষেক মনু সিংভি সওয়াল করেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অতীত একেবারে স্বচ্ছ, তাছাড়া দীর্ঘ সামাজিক সুনামও আছে।
চিদম্বরম আগাম জামিনের আর্জির সমর্থনে বলেন, এই মামলায় যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ আদতে কতকগুলি নথিপত্র বলে মনে হয়। ওগুলি ইতিমধ্যে সরকারের হেফাজতে আছে, তাঁর কাছ থেকে কিছুই সংগ্রহ করার নেই।

তবে ইডি-র তরফে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নীতেশ রানা চিদম্বরমের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, উনি আজ তদন্ত প্রক্রিয়ায় সামিল হননি, যেজন্য ইডি তাঁকে ইতিমধ্যে সমন পাঠিয়েছে।
আদালত ইতিমধ্যেই চিদম্বরমের ছেলে কার্তিকে টুজি স্পেকট্রাম মামলা থেকে উদ্ভূত এয়ারসেল-ম্যাক্সিস সংক্রান্ত ব্যাপারে সিবিআই ও ইডি-র যথাক্রমে ২০১১ ও ২০১২ সালে দায়ের করা দুটি মামলায় ১০ জুলাই পর্যন্ত গ্রেফতারির হাত থেকে অন্তর্বর্তী রেহাই দিয়েছে। কার্তির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানিতে সওয়ালের জন্য সময় চায় ইডি।
এয়ারসেলে বিনিয়োগের জন্য মেসার্স গ্লোবাল কমিউনিকেশনস হোল্ডিং সার্ভিস লিমিটেডকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের ছাড়পত্র দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগেই এই মামলা।