বেজিং: একক বিরোধে ভারতের এনএসজি অন্তর্ভুক্তি আটকে দিতে তাদের বাধেনি। অথচ এবার দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে প্যাঁচে পড়ে সেই দিল্লিরই সাহায্য চায় বেজিং। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং য়ি ১২ তারিখ থেকে ৩দিনের সফরে ভারতে আসছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে চিনে যে জি ২০ বৈঠক বসছে, সেখানে যাতে দিল্লি অন্য দেশের সঙ্গে গলা মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর প্রসঙ্গ না তোলে, তা নিশ্চিত করতে তাঁর এই সফর।


দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের দাবিদাওয়া আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল উড়িয়ে দেওয়ার পর এ নিয়ে চিনা নেতারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাঁদের ভয়, জি ২০-তে আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশ প্রসঙ্গটি তুলবে। তাই চিনা বিদেশমন্ত্রী চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বোঝাতে, যাতে দিল্লি বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া না করে বেজিংয়ের অস্বস্তি না বাড়ায়।

দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে জাপান, ফিলিপিনস, তাইওয়ান সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চিনের তুমুল অশান্তি চলছিল। খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ ওই সাগরের ৯০ ভাগ তাদের বলে দাবি করেছিল চিন। ফিলিপিনস এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে যাওয়ায় ট্রাইবুন্যাল চিনের দাবি খারিজ করে দেয়। কিন্তু ভারত যেভাবে চিনের পাশে না দাঁড়িয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তা ভাবাচ্ছে বেজিংকে। ট্রাইবুন্যালের রায় প্রসঙ্গে দিল্লি বলে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত মেনে চলা উচিত, সব দেশের উচিত তাতে সহযোগিতা করা। এখন জি ২০ বৈঠকে দিল্লির কী অবস্থান হবে, তা বুঝতে পারছে না চিন। তাদের আশঙ্কা, বেজিংকে বিপাকে ফেলতে দিল্লি ওয়াশিংটনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরের প্রসঙ্গটি তুলবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও চিনা বিদেশমন্ত্রী দেখা করবেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে।

জি ২০ বৈঠক চলাকালীন চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা।