নয়াদিল্লি: ভারতের আশায় শেষ পর্যন্ত জল ঢেলে দিল চিন। জয়েশ ই মহম্মদ প্রতিষ্ঠাতা তথা পঠানকোট হামলার মাথা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে ভারতের প্রস্তাব আটকে  দিল বেজিং। কূটনীতির ভাষায় ব্লক করে দিল।


গত ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৫ সদস্যের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কমিটিতে প্রস্তাবটি পেশ করেছিল ভারত।


চিন বাদে বাকি সদস্য দেশগুলির ওই  প্রস্তাবে দৃঢ় সমর্থন রয়েছে বলে দাবি ভারতের। চিন টেকনিক্যাল কারণ তুলে ভারতের প্রস্তাবটি এতদিন ঠেকিয়ে রেখেছিল। আগামীকাল টেকনিক্যাল কারণে ঠেকিয়ে রাখার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই  চিনের আজকের পদক্ষেপে বিস্মিত ভারত। চিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, সন্ত্রাসবাদ যে সবার সামনেই বিরাট বিপদ, চিন এটা উপলব্ধি করবে বলে আশা করেছিল ভারত। ভেবেছিল, চিন সন্ত্রাসবাদের একক বিপদ মোকাবিলায় ভারতের হাত ধরবে।


বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, চিন নিজেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে বিব্রত। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করবে বলেও আগে জানিয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখলাম, মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ তালিকায় ফেলার প্রস্তাবে চিন বাধা দিল।


এর ফলে এবার আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করতে হলে ভারত বা অন্য যে কোনও দেশকে নতুন করে আবেদন পেশ করতে হবে।


চিন এর আগে দুবার টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে ভারতের উদ্যোগ আটকে দিয়েছে।


ভারত অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নয়।  সন্ত্রাসবাদী হিংসার নায়কদের সাজা দিতে যাবতীয় রাস্তা ব্যবহার করে প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর ভারত।


একইসঙ্গে ভারত বলেছে, পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত জয়েশ-ঈ-মহম্মদ যে পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা সহ ভারতে একাধিক নাশকতায় সরাসরি জড়িত, সেটা ভাল করেই জানে আন্তর্জাতিক মহল। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, আন্তর্জাতিক মহল জয়েশের নেতা মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ তালিকায় ঢোকাতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ যথাযথ ভাবে মোকাবিলার সার্বিক উদ্যোগে আঘাত লাগবে, সন্ত্রাসবাদ রোধে তার দ্বিচারিতার দিকটিও প্রকট হবে।