কিবিথু (অরুণাচল প্রদেশ):  ফের সীমান্তে ভারত ও চিনের মতানৈক্য। এবার কেন্দ্রস্থল অরুণাচল প্রদেশের আসাফিলা। চিনের অভিযোগ, অরুণাচল-সীমান্তে অবস্থিত সংবেদনশীল আসাফিলাতে আগ্রাসন ঘটাচ্ছে ভারতীয় সেনা। বেজিংয়ের এই অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।


সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, গতমাসের ১৫ তারিখ অরুণাচলের কিবিথুতে দাইমাই পোস্টে দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বর্ডার পার্সোনেল মিটিংয়ে এই অভিযোগ তোলে চিন। কিন্তু ভারতীয় সেনার তরফে সেই অভিযোগ খারিজ করে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অরুনাচল প্রদেশের উজানি অরুণাচলের সুবানসিরি অঞ্চলটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতীয় জওয়ানরা সেখানে প্রতিনিয়ত প্রহরা দেয়।


ভারতীয় সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, চিনের এই প্রতিবাদ-অভিযোগ বিস্ময়কর। অতীতে, এই অঞ্চলে বহুবার চিনা সেনা আগ্রাসন ঘটানোর চেষ্টা চালিয়েছে। সেই সময় ভারত প্রতিবাদ জানিয়েছিল। দুদেশের মধ্যে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নিয়ে ভিন্নমত থাকায় বিপিএম মেকানিজম চালু করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, উভয় দেশই অপরপক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ দায়ের করতে পারে।


সেনাবাহিনীর সূত্রে খবর, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফে জানানো হয়, আসফিলায় ভারতীয় সেনা তাদের নজরদারি ও প্যাট্রলিং বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে, সেখানে অশান্তি বাড়তে পারে। পিএলএ-র এই দাবি পত্রপাঠ বিদায় করে সেনা। উল্টে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতীয় সেনা যেখানে আছে, সেখানে থাকবে।


অতীতে, দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, সবচেয়ে বড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গতবছর ১৬ জুন। ভূটান-সিকিম-টিন সীমান্ত লাগোয়া ডোকালামে চিনা সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করে ভারত। প্রায় ৭৩ দিন সংঘর্ষের আবহ ছিল।