মোদীর অরুণাচল সফরের 'তীব্র বিরোধিতা', কূটনৈতিক স্তরে ভারতকে প্রতিবাদ জানাবে চিন
Web Desk, ABP Ananda | 15 Feb 2018 04:25 PM (IST)
বেজিং: বরাবরের মতোই নরেন্দ্র মোদীর অরুণাচল প্রদেশের 'জোরালো বিরোধিতা' করল চিন। প্রধানমন্ত্রী আজ অরুণাচল গিয়েছেন, এই খবরে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শ্যুয়াং বলেন, চিন-ভারত সীমান্ত প্রশ্নে চিনের অবস্থান স্পষ্ট, ধারাবাহিক ভাবে এক। তাঁকে উদ্ধৃত করে চিনের সরকার পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া বলেছে, চিন সরকার কখনই তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকার করে না, ওই বিতর্কিত স্থানে ভারতীয় নেতার যাত্রার কঠোর বিরোধী। আমরা ভারতের কাছে কূটনৈতিক স্তরে প্রবল প্রতিবাদ জানাব। প্রসঙ্গত, বরাবরই চিনের দাবি, অরুণাচল তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। একইসঙ্গে বলেন, ভারতকে তার আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতির মর্যাদা দান, সংশ্লিষ্ট ঐকমত্য মেনে চলার পাশাপাশি সীমান্ত ইস্যু জটিল করে তুলতে পারে, এমন কোনও একতরফা পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আবেদন করছে চিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বেআইনি ম্যাকমোহন লাইন' ও ভারত, চিনের মধ্যে প্রচলিত সীমানার মধ্যে পড়া এই জায়গাগুলি বরাবরই চিনের ভূখণ্ডের মধ্যে ছিল। ১৯১৪ সালে ব্রিটেন ম্যাকমোহন লাইন তৈরি করেছিল এইসব এলাকা ভারতীয় ভূখভারত ও চিনের মধ্যে বিতর্ক, বিরোধ ঠিকঠাক মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ, বিতর্ক মিটিয়ে ফেলায় সচেষ্ট দুপক্ষই, এও জানান গেং।ণ্ডের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বহু চেষ্টা করে অর্জিত গতিশীলতাকে রক্ষা করে সীমান্ত আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে ভারতকে আবেদন জানান গেং। প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ রয়েছে ৩৪৮৮ কিমি দীর্ঘ এলাকা নিয়ে। এপর্যন্ত তা মেটাতে দু দেশ ২০ দফা আলোচনা করেছে নিজেদের মধ্যে।