পাসিঘাট (অরুণাচল প্রদেশ): গত মাসে দুবার অরুণাচল সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে চিনা সেনা। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

শুক্রবার অরুণাচল প্রদেশে নব-নির্মিত পাসিঘাট অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (এএলজি)-কে দেশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন রিজিজু। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, গত মাসে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে দু-দুবার ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে চিনা সেনা।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিকে অনুপ্রবেশ বলছি না। কারণ, চিনা সেনা লাইন অফ অ্যাকচ্যুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-র এপারে সামান্যই প্রবেশ করেছিল। তিনি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছিল প্রান্তিক আনজো জেলার কিবিথুতে। অন্যটি ঘটে তাওয়াং জেলার থাংসায়। তবে, বিষয়টি সামাল দেয় প্রহরারত আইটিবিপি জওয়ানরা।

পাসিঘাট এএলজি-তে ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান উড়ান এবং অবতরণ করতে সক্ষম। মূলত, চিনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিতেই অরুণাচলে এই এএলজি-কে চালু করেছে কেন্দ্র।

সীমান্তের ওপারে পরিকাঠামোর ওপর ব্যাপক জোর দিচ্ছে চিন। তা মাথায় রেখেই চিন-সীমান্ত লাগোয়া অরুণাচলে একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। রিজিজু জানিয়ে দেন, উন্নয়নের অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবেই পাসিঘাট এএলজি-কে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত।

যদিও, রিজিজু এ-ও জানিয়ে দেন, ভারতের এই উন্নয়নমূলক কাজের উদ্দেশ্য কিন্তু তিনের সঙ্গে টক্কর দেওয়া নয়। তিনি বলেন, সীমান্ত উন্নয়ন নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা তা মোকাবিলায় যাচ্ছি না। তবে, নিজেদের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করার কর্তব্য সকলের।

প্রসঙ্গত, পাসিঘাটে এএলজি হওয়ার ফলে, দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের  চিন-সীমান্তে ভারতীয় সামরিক শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রিজিজুর মতে, এই নতুন রানওয়েতে সব ধরনের বিমান ও হেলিকপ্টার টেক-অফ এবং অবতরণ করতে পারবে।

সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে, দেশের উত্তর-প্রান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে। যে কোনও পরিস্থিতিতে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এখানে সামরিক বাহিনীকে পাঠানো সম্ভব হবে। আবার বিপদের সময় লাভ হবে স্থানীয়দের।

প্রতিমন্ত্রী এদিন জানিয়ে রাখেন, এখন তাওয়াং সমেত অরুণাচলের বিভিন্ন জায়গায় এধরনের এএলজি তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র। তবে, ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তাওয়াংয়ে রানওয়ে তৈরি করাটা সহজ নয়। কারণ, সেখানকার ভূখণ্ডে কিছু তৈরি করা সহজ নয়।