নয়াদিল্লি: প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগী ও প্রাক্তন বায়ুসেনা উপ প্রধান জে এস গুজরালকে অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি চপার ডিলে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে জেরার জন্য ডাকল সিবিআই। অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল গুজরালকে শনিবারই জেরা করা হল। ত্যাগীকে সোমবার জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।


এদিন সকালেই সিবিআই কার্যালয়ে হাজির হয়ে তদন্তকারী দলের জেরার মুখে বসেন গুজরাল। অভিযোগ, ২০০৫ সালে যে বৈঠকে হেলিকপ্টারের উড়ানের উচ্চতা সংক্রান্ত মাপকাঠির ঊর্ধ্বসীমা বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে সামিল ছিলেন তিনিও।

 

ত্যাগী ও গুজরাল, দুজনকেই ২০১৩ সালে দীর্ঘ জেরা করা হয়েছিল। ফের তাঁদের জেরা করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ইতালির এক আদালতের গত ৭ এপ্রিলের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে। সেই রায়ে বিস্তারিত ভাবে মিলানের আপিল আদালত (ভারতের যে কোনও হাইকোর্টের সম মর্যাদা আছে এই আদালতের) জানিয়েছে, কীভাবে ওই কপ্টারের বরাত পেতে দালালের মাধ্যমে ভারতের কর্তাব্যক্তিদের বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিয়েছে হেলিকপ্টার নির্মাতা কোম্পানি ফিনমেকানিকা ও অগুস্তাওয়েসটল্যান্ড। এ প্রসঙ্গে একাধিকবার নাম করা হয়েছে ত্যাগীর। মিলানের আদালতের সেই রায়ের কপি হাতে পেয়ে সিবিআই ত্যাগী ও গুজরালকে জেরা করার জন্য নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে।

ত্যাগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হেলিকপ্টারের উড়ানের উচ্চতার মাপকাঠি পূর্ব নির্ধারিত অলটিচিউড ৬ হাজার মিটার থেকে কমিয়ে ৪৫০০ মিটারে (১৫ হাজার ফুট) ধার্য করেছিলেন, যাতে বিডিং অর্থাত দর হাঁকার প্রক্রিয়ায় অগুস্তাকে ঢোকানো যায়। যদিও এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আলোচনা করা হয়েছিল এসপিজি ও সে সময়কার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ণন সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিসারদের সঙ্গেও। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সার্ভিস সিলিং অর্থাত সর্বোচ্চ যে উচ্চতায় একটি হেলিকপ্টার স্বাভাবিক অবস্থায় উড়তে পারে, কমিয়ে দেওয়ার ফলেই ব্রিটিশ সংস্থাটি বরাত পাওয়ার দৌড়ে থাকতে পেরেছিল, নয়ত তাদের তৈরি হেলিকপ্টারের দরপত্র জমা দেওয়ার পর্যায়েই থাকার কথা নয়। ত্যাগী অবশ্য এ ব্যাপারে হাত থাকার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।