ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সকলকে বড়দিনের অনেক শুভেচ্ছা। যীশু খৃস্টের জীবন ও দর্শন সারাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে শক্তি জোগায়। তা সকলের কাছে অনুপ্রেরণা। দয়া ও সমবেদনার মূর্ত প্রতীক ছিলেন তিনি।' বড়দিনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। রাহুল ট্যুইটারে লেখেন, 'সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। এই উৎসব সকলের বাড়িতে আর মনে শান্তি ও সম্প্রীতি বয়ে আনুক।'
বড়দিন উপলক্ষ্যে গোটা বিশ্বে আনন্দে মেতে উঠেছেন বহু মানুষ। শুধু ক্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরাই নন, বড়দিনের আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে সব ধর্মের সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই। ক্রিসমাস ক্যারল, ক্রিসমাস ট্রি আর উপহারের ঝুলি নিয়ে সান্টা ক্লজ উপস্থিত সর্বত্রই।
শীতের আমেজ গায়ে মেখে বড়দিনকে স্বাগত জানাতে তৈরি কলকাতাও৷ কেকের সুবাস, রঙিন আলোর সাজে গতকাল থেকেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট৷ সান্তার উপহারের অপেক্ষায় রয়েছে কচিকাঁচারা। জাঁকিয়ে শীতের পাশাপাশি, বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ, কেক, সবই আছে। তবে করোনা আবহে এবার উৎসবের রং অনেকটাই ফিকে। এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর। বড়দিনে প্রতিবার সারাদিন খোলা থাকে সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল চার্চ। দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। এবার করোনা আবহে বড়সড় জমায়েত এড়াতে দুপুর ২টোর পর চার্চ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় রয়েছে বড়দিনের উন্মাদনা। সর্বত্র সেজে উঠেছে গির্জাগুলো। যদিও করোনা আবহে অনেক চার্চই সাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে উৎসবের আমেজে ভাঁটা পড়েনি। চন্দননগরের সেক্রেড হার্ট চার্চে সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। কেউ আসছেন উপাসনার জন্য, কেউ বা শুধুমাত্র বড়দিনের আমেজ উপভোগ করতে চার্চে এসেছেন। করোনা আবহে এবার ভিড় অনেকটাই কম। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চার্চ কর্তৃপক্ষও।