নয়াদিল্লি: ইনদওর-পটনা এক্সপ্রেসই প্রথম নয়। এর আগেও বারবার ভয়াবহ সব দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারতীয় রেল। চলুন, দেখে নিই তারই কিছু খণ্ডচিত্র-


২৭ নভেম্বর, ১৯৫৬। তামিলনাড়ুর আরিয়ালুরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৪২জনের মৃত্যু হয়। সঙ্গে সঙ্গে নেহরু মন্ত্রিসভার রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত আজও বারবার উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে।

১৮ এপ্রিল, ১৯৮৮। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে লাইনচ্যুত হয় কর্নাটক এক্সপ্রেস। মৃত অন্তত ৭৫।

৮ জুলাই, ১৯৮৮। কেরলের অষ্টমুন্ডি লেকে পড়ে যায় আইল্যান্ড এক্সপ্রেস। মারা যান ১০৭জন যাত্রী।

২০ অগাস্ট, ১৯৯৫। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ স্টেশনের কাছে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসের সঙ্গে কালিন্দী এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ। অন্তত ৪০০ যাত্রীর মৃত্যু।

১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭। মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে নদীতে পড়ে যায় আমদাবাদ-হাওড়া এক্সপ্রেসের ৫টি বগি। মৃত ৮১।

২৬ নভেম্বর, ১৯৯৮। পঞ্জাবের খান্নার কাছে ফ্রন্টিয়ার মেলের লাইনচ্যুত বগির সঙ্গে জম্মু তাওয়াই-শিয়ালদা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে মৃত অন্তত ২১২জন।

২ অগাস্ট, ১৯৯৯। অসমের গাইসালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেন। মৃত অন্তত ২৯০।

৯ সেপ্টেম্বর, ২০০২। বিহারের ঔরঙ্গাবাদে দাভে নদীতে পড়ে যায় হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। ১০০জনের মৃত্যু।

২৮ মে, ২০১০। নকশাল নাশকতায় পশ্চিম মেদিনীপুরে লাইনচ্যুত হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। অন্তত ১৪৮জনের প্রাণ যায়।

এবার কানপুরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় শতাধিকের মৃত্যু হল।