হায়দরাবাদ: বিমানবন্দরে জঙ্গিহানা রুখতে বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী মোতায়েন করল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)।

সম্প্রতি, ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাক্ষী থেকেছে ইস্তানবুল বা ব্রাসেলসের বিমানবন্দর। এদেশের কোনও বিমানবন্দরে যাতে সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয়, তার জন্য আগাম সতর্ক এই কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী।

বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশের বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) মোতায়েন করা হয়েছে। ওই টিমের সুরক্ষার জন্য রয়েছে বুলেটপ্রুফ ‘দেওয়াল’, যাতে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করলেও, তা ওই দেওয়ালে প্রতিহত হবে।

বিদেশের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগে থেকে সতর্ক সিআইএসএফ। ওই আধিকারিক বলেন, ইস্তানবুল ও ব্রাসেলসে হামলার থেকে বোঝা যাচ্ছে, শহরের ভিতর থেকে হামলাকারীরা আসছে বিমানবন্দরের দিকে। তাই তেমন কোনও হামলাকে কী করে আটকানো যায়, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সিআইএসএফ-কর্তা জানান, বিমানবন্দরগামী রাস্তায় অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে ‘নাকা’ বা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ফলে, কোনও বিমানবন্দরগামী কোনও ব্যক্তি বা গাড়িকে সন্দেহজনক মনে হলে আগে ভাল করে পরীক্ষা করা হবে। এক্ষেত্রে স্নিফার ডগ এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে।

বাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, কিউআরটি-কে বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। ওই দলকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ গুলি চালালেই, পাল্টা গুলিতে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

ওই কর্তা জানান, কিউআরটি-কে এমন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা যে কোনও সন্ত্রাস-হামলা বা হাইজ্যাক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে।

এখনও পর্যন্ত, দেশের ৫৯ প্রধান বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। আরও ৩৯টি বিমানবন্দরের দায়িত্বও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মোট ১.৪৫ লক্ষ জওয়ান সিআইএসএফ বাহিনীতে নিযুক্ত। এর মধ্যে এভিয়েশন সিকিউরিটি গ্রুপ বলে প্রশিক্ষিত ইউনিট রয়েছে বাহিনীর। পাশাপাশি রয়েছে কম্যান্ডো-ফোর্স। সেখানে প্রায় ২৫ হাজার পুরুষ এবং মহিলা নিযুক্ত রয়েছেন।