চেন্নাই: জয়ললিতা কেমন আছেন? তাঁর কী হয়েছে? তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে যাবতীয় সংশয়, ধন্দ কাটাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।


৬৮ বছর বয়সি ‘আম্মা’ গুরুতর অসুস্থ, কিন্তু সে কথা ধামাচাপা দিচ্ছে তাঁর দল, এহেন অভিযোগ, জল্পনার মধ্যেই চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এআইএডিএমকে  নেত্রীর শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়ে গতকাল একটি জনস্বার্থ  পিটিশন পেশ করেন ট্রাফিক রামস্বামী নামে এক সমাজকর্মী।  জয়ললিতার অনুপস্থিতিতে একজন অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের আর্জিও জানিয়েছেন আবেদনকারী।

তামিলনাড়ুর অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল সি  মণিশঙ্করকে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে কালকের মধ্যে তথ্য জানাতে বলে ডিভিসন বেঞ্চ। মণিশঙ্কর বলেন, যে কর্পোরেট হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন,  তারা প্রতিদিন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি, চিকিত্সা নিয়ে মেডিকেল বুলেটিন দিচ্ছে। কিন্তু আদালত বলে, হাসপাতাল বুলেটিন দিলেও যেহেতু তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অতএব  তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারি বিবৃতি এলে মানুষের উদ্বেগ, উত্কণ্ঠার নিরসন হবে।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বর ও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জয়ললিতা। তাঁর দল অবশ্য তাঁর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা অস্বীকার করে দাবি করছে, নেত্রী দ্রুত সেরে উঠছেন, চিকিত্সায় ফল মিলছে। গতকালই এআইএডিএমকে মুখপাত্র সি আর সরস্বতী দাবি করেন, অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন উনি। ভাল আছেন। শীঘ্রই পুরো সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে তাতে সংশয় যাচ্ছে না। ডিএমকে নেতা এম কে করুণানিধির মতো বেশ কিছু বিরোধী নেতা দাবি করেছেন, জয়ললিতা যে সঙ্কটজনক নন, সেটা তাঁর ছবি প্রকাশ করে প্রমাণ করে দিক না তাঁর দল! যদিও দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এআইএডিএমকে-র পক্ষ থেকে।

গত সপ্তাহের শেষে জয়ললিতার দল নেত্রীর চিকিত্সার তদারকির জন্য ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞকে উড়িয়ে আনার খবর সঠিক বলে জানায়। সোস্যাল মিডিয়াতেও জয়ললিতার অসুস্থতা নিয়ে চলছে দিনভর জল্পনা। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভুল খবর ছড়ানোর অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে এআইএডিএমকে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা  কতখানি গুরুতর, সে ব্যাপারে সংশয়ের মধ্যেই চর্চা চলছে, তাহলে রাজ্য সরকার চালাচ্ছেন কে? নেত্রীর দলের এক নেতা জানাচ্ছেন, ৬ জন শীর্ষ আমলা ও জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাই সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। হাসপাতালে জয়ললিতার কাছে যাচ্ছেন এঁরাই।