নয়াদিল্লি: দিল্লি পৌঁছে সংসদ ভবনে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতিশ কুমার সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের জল্পনা তুঙ্গে। কাল বৈঠক অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে। রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে এদিন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


দিল্লি পৌঁছেই আঞ্চলিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্টের ভিত্তি তৈরি করতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর একের পর এক আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা উপলক্ষ্যে আগে থেকেই সংসদ ভবনের বাইরে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।

দুপুর দেড়টা নাগাদ পৌঁছন মমতা। সোজা চলে যান সংসদের সেন্ট্রাল হলে। সেখান থেকে সংসদে তৃণমূলের দলীয় অফিসে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে হাজির হন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ তথা সংসদ বিষয়কপ্রতিমন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। দু’জনের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।

হাসির মোড়কে রজনীকান্তের নতুন ছবি কাবালি নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। হালকা মেজাজে চলে গান। এরপর একে একে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতারা দেখা করতে আসতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় থাকা মুলায়ম সিংহ যাদবের ভাই তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। দেখা করতে আসেন সামজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। এবং বিহারে ক্ষমতাসীন জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী। ওড়িশায় ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দলের রাজ্যসভার নেতা দিলীপ তিরকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আসেন আম আদমি পার্টির মুখ্যপাত্র রাঘব চাড্ডাও।

বুধবার অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের মমতার সঙ্গে দেখা করার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্ট গঠনের তৎপরতা দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কারণ, ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় প্রত্যাবর্তনের পর এবার তাঁর লক্ষ্য দিল্লি। অকংগ্রেসি-অবিজেপি জোট গঠন।

আঞ্চলিক ঐক্য জোরদার করার আরও একটি চেষ্টাও লক্ষ্য করা গিয়েছে তৃণমূলের অবস্থানে। সূত্রের খবর, সংসদ থেকে সাসপেন্ডেড আম আদমি পার্টির সাংসদ ভগবন্ত মানের পাশে দাঁড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সংসদ ভবনের ভিতরকার ভিডিও তৈরি করায় বিতর্কে জড়িয়েছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ। সূত্রের খবর, তার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে তৃণমূল এই অবস্থান নিতে পারে যে, ভগবন্ত মান যেহেতু খারাপ উদ্দেশ্যে কিছু করেননি এবং ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তাই আর প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়?