নয়াদিল্লি: নতুন বছরে বিহার রাজনীতিতে কি নতুন কোনও সমীকরণ দেখা যেতে পারে? সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে শক্তি হারিয়ে বিজেপির জুনিয়র পার্টনার হিসেবে সরকার গড়েছে জেডি-ইউ। ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। এরইমধ্যে অরুণাচল প্রদেশে জেডিইউ-র ছয় বিধায়ক যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ব্যক্ত করল জেডিইউ। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক কেসি ত্যাগী বলেছেন, দল এই ঘটনায় ক্ষোভ, অসন্তোষ প্রকাশ করছে এবং এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জোট রাজনীতির ক্ষেত্রে তা আদৌ সুলক্ষ্মণ নয়। অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানা এবং গত ১৫ বছর বিহারে যেমন হয়েছে, শরিকদের তেমনই জোট রাজনীতির ধর্ম অনুসরণ করা উচিত।
দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে নীতীশের মন্তব্যও জল্পনা উস্কে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও আকাঙ্খা ছিল না। আমার ওপর চাপ ছিল এবং সেজন্য পদ গ্রহণ করেছি। বিহারে যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, যে কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী করা যেতে পারে। আমি কিছু মনে করব না। বিজেপি তাদের নিজেদের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে।
নীতীশ বলেছেন, ভোটের ফল বেরোনোর পর আমার ইচ্ছের কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু চাপ থাকায় ফের এই কাজের দায়িত্বভার ফের গ্রহণ করতে হয়।


উল্লেখ্য, রাজ্যসভা সাংসদ রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহকে গতকাল রবিবার জেডিইউ-র নতুন সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আরসিপি সিংহ হিসেবেই তিনি পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের ঘনিষ্ঠ তিনি।
দায়িত্বভার গ্রহণ করে জেডিইউ-র নবনিযুক্ত সভাপতি আরসিপি সিংহ রবিবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে নাম না করে জোট শরিক বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, জেডিইউ কোনওদিন কারুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি বা কারুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হয়নি। যার সঙ্গেই থাকি না কেন, সততার সঙ্গেই থাকি।
একইসঙ্গে লাভ জিহাদ ইস্যুতেও বিজেপির সঙ্গে জেডিইউ-র মতপার্থক্য সামনে এসেছে। কেসি ত্যাগী ভিন ধর্মে বিয়ে রুখতে লাভ জিহাদ আইন নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লাভ জিহাদ নিয়ে দেশে বিদ্বেষের পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা ছাড়া এটি আর অন্য কিছু নেই।