ওই পড়ুয়ার দাবি, ২০১৭ সালের অগাস্টে যখন তিনি ওই কলেজে অ্যাডমিশন নেন, তখনই তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অম্বিকাপুরের বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বলেছিলেন ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। কারণ, তিনি কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এমনকি গত ডিসেম্বরে যখন মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন তাঁকে জোর করে অন্য পড়ুয়াদের সামনে নাচতে বাধ্য করেন কলেজের শিক্ষকরা। এমনকি মেয়েটি যখন ওই অবস্থায় নেচেছে তখন শিক্ষকরা দেখে ঠাট্টা-তামাশা করেন। মেয়েটি সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে একদিনও ছুটি নেননি। তা সত্ত্বেও তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের মতো দেশে যেখানে মহিলাদের উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, সেখানে এভাবেই মহিলাদের বাধ্য করা হয় পড়াশোনা বা সংসারের মধ্যে কোনও একটি বিষয়কে বাছতে।