অমরাবতী(অন্ধ্রপ্রদেশ): হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের উপর নজর রাখার জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও অন্যান্য দপ্তরের সাহায্য নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফোন নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করা অর্থাৎ ফোনগুলি কোথা থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর নজর রাখা শুরু করল সরকার। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি বাড়ির বাইরে গেলেই সেই তথ্য চলে যাবে সরকারের কাছে। এর ফলে সম্ভব হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ফলে আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়বে না বলেই আশা সরকারের।


টেলিকম পরিষেবার সাহায্য নিয়ে কোভিড অ্যালার্টিং ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করছে সরকার। এই পদ্ধতিতে আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা কোথাও বাইরে বেরোলে সেই তথ্য পৌঁছে যাবে সরকারের কাছে। এর ফলে সত্বর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।


ইতিমধ্যেই ২৫০০০ কোয়ান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা শুরু করেছে সরকার। এই সমস্ত ব্যক্তিদের তথ্য নিয়ে সিস্টেমের ডেটাবেস তৈরী করেছে সরকার। ডেটাবেসে রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা ও এলাকা।


কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা তাদের বাড়ির থেকে ১০০ মিটারের বেশী দূরে গেলেই সেই অ্যালার্ট যাবে সরকারের কাছে। তখনই ফোন করে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হবে সেই ব্যক্তিকে। তিনি রাজী না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত ব্যক্তিই যাতে এই নিয়ম মেনে চলে তা নিশ্চিত করবে সরকার।


আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোথায় কোথায় গিয়েছে এবং কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা জানতেও সরকারের অস্ত্র মোবাইল ট্র্যাক। লোকেশন ট্র্যাক করে সেইসব স্থানগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ১৫ মিনিট বা তার বেশী সময় কাটিয়েছেন। তারপর সেই স্থানগুলিকে ও তার আশেপাশের ২-৩ কিলোমিটার এলাকাকে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পাঠানো হচ্ছে কোয়ারান্টাইনে। ইতিমধ্যেই ২০ জন করোনা আক্রান্ত কোন কোন স্থানে গিয়েছিলেন তা চিহ্নিত করেছে সরকার।


সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে অন্ধ্রের এই পদ্ধতিই প্রয়োগের কথা ভাবছে তেলঙ্গানা, বিহার ও ওড়িশা।