উল্লেখ্য, একটি আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলায় অর্ণব গোস্বামীর জামিন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছিলেন কুণাল। তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতির পর কুণাল তাঁর ট্যুইটার পেজে বেণুগোপাল ও বিচারপতিদের সম্বোধন করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'সম্প্রতি আমি যে ট্যুইট করেছি, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করা হচ্ছে'।
কুণাল বলেছেন, 'আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি। কারণ, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নীরবতা সমালোচনার বাইরে থাকতে পারে না। আমার ট্যুইট সরানো বা তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও ইচ্ছেই নেই'।
এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যে আইনি লড়াইয়ের কথা ভাবছেন না, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন কুণাল। ওই পোস্টের শিরোনামে লিখেছেন, ‘কোনও আইনজীবী নয়, ক্ষমা নয়, জরিমানা নয়, স্থানের অপচয়ও নয়।’
চলতি বছরের ইন্ডিগোর বিমানে রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণের অভিযোগে বেশ কয়েকটি কোম্পানি তাঁর বিমানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
কুণাল আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। ভূষণও তাঁর ট্যুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁকে অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
বেণুগোপাল বলেছিলেন যে, 'কুণালের ট্যুইট খুবই আপত্তিকর এবং বোঝানোর সময় এসেছে যে, শীর্ষ আদালতকে এভাবে অযৌক্তিকভাবে নিশানা করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে'।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন যে, 'আজকাল লোকজন মনে করেন যে, বাক-স্বাধীনতার ব্যবহার করে খুব সাহসী হয়ে নির্লজ্জের মতো সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু সংবিধানে বাক-স্বাধীনতা অবমাননা আইনের আওতাধীন'।