নয়াদিল্লি: লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বইজলকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের চিঠি। দিল্লি সরকার না লেফটেন্যান্ট গভর্নর, কার ক্ষমতা বেশি, সেই প্রশ্নে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ডানা ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। তারপরই কেজরীবালের আমআদমি পার্টি (আপ) সরকার তাঁর হাত থেকে বদলি, পোস্টিং, নিয়োগের ক্ষমতা প্রত্যাহারের ঘোষণা করে। কিন্তু তা মানতে নারাজ আমলা, অফিসাররা।
সেই প্রেক্ষাপটেই বইজলকে চিঠিতে কেজরীবাল জানিয়েছেন, যাবতীয় সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয় মন্ত্রি পরিষদের এক্তিয়ারে থাকবে। কোনও ব্যাপারেই এখন থেকে আর তাঁর সম্মতির প্রয়োজন নেই, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই উচিত সুপ্রিম কোর্টের গতকালের রায় 'অক্ষরে অক্ষরে' পালন করা।



কেজরীবাল সরকার এখন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পালনের ব্যাপারে নির্দেশ জারি, শীর্ষ আদালতের রায় সব কর্তাদের জানিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লি সরকার আমলাদের নিয়োগ, বদলির ব্যাপারে নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করে যাতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালই হন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সার্ভিসেস দপ্তর তা মানতে রাজি হয়নি। তাদের যুক্তি, ২০১৫-র ২১ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলে দেওয়া হয়, সার্ভিসেস সংক্রান্ত সব বিষয় লেফটেন্যান্ট এক্তিয়ারে থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট সেই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করেনি।
কেজরীবাল সুপ্রিম কোর্টের রায় উদ্ধৃত করে চিঠিতে লেখেন, মাত্র তিনটি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা থাকবে, বাকি সব বিষয়ে সার্ভিসেস সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভের ক্ষমতা মন্ত্রি পরিষদের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।
কেজরীবাল লিখেছেন, আমরা দিল্লির উন্নয়ন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি রূপায়ণে, সুপ্রিম কোর্টের রায় পালনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সমর্থন চাই। আপনার কোনও ব্যাপারে ভিন্ন মত থাকলে অনুগ্রহ করে জানান। আপনি চাইলে আমি নিজে, আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা আলোচনায় বসতে পারেন।
গতকালই সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁকে নির্বাচিত সরকারের মত, পরামর্শ শুনে চলতে হবে।
এদিন উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ শিসোদিয়াও জানান, অফিসাররা শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে না চললে, লেফটেন্যান্ট গভর্নরও বদলির ফাইল দেখা চালিয়ে গেলে তা হবে সংবিধান বেঞ্চকে অবমাননার সমান।