নয়াদিল্লি: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশের নাগরিকদের সঙ্গে মিশে যেতে দিলে চলবে না, তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। জম্মু কাশ্মীর সহ যে সব রাজ্যে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়েছে, সেই সব রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ দিল কেন্দ্র। তাদের বায়োমেট্রিক খুঁটিনাটি সব যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য লিপিবদ্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে তারা। বলা হয়েছে, যেন আধার নম্বর বা অন্য কোনও পরিচয়পত্র যেন তাদের দেওয়া না হয়।

কেন্দ্র জানিয়েছে, এই সব ব্যক্তিগত তথ্য রেখে দেওয়া জরুরি কারণ তা মায়ানমার সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে যাতে তারা এই রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়। কেন্দ্রের আশঙ্কা, রোহিঙ্গারা তাদের আশ্রয়স্থল থেকে বেরিয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাহলে জনতার মধ্যে মিশে যাওয়া তাদের পক্ষে খুব একটা শক্ত হবে না। তাদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে রয়েছে ও অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া খুব একটা বিচিত্র নয়।

জম্মু কাশ্মীরের মুখ্য সচিবকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, বেআইনিভাবে এ দেশে ঢোকা কিছু রোহিঙ্গা জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। বেআইনি কাজকর্মের পাশাপাশি প্যান, ভোটার কার্ডের মত পরিচয়পত্র জাল করছে এরা, এমনকী দেশবিরোধী কার্যকলাপেও জড়িয়ে পড়ছে। গত বছরের হিসেব অনুযায়ী, এ দেশে এখন ৪০,০০০-এর মত বেআইনিভাবে আসা রোহিঙ্গার বাস। যদিও বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা অনেক বেশি।

চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, গত বছর সেপ্টেম্বরেই জম্মু কাশ্মীর সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি সংগ্রহ করতে কিন্তু সে সব তথ্য এখনও দিল্লি পৌঁছয়নি। তাছাড়া উপত্যকায় মুসলমান জনতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা কেন বসবাসের জন্য জম্মুই বেছে নিল তাও ভাবাচ্ছে তাদের।