নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, এবারের বাজেটে কৃষকদের ফসল উৎপাদনের খরচের অন্তত দেড়গুণ অর্থ সহায়ক মূল্য হিসেবে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কৃষকদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করার সময় সব প্রধান শস্যকেই এর মধ্যে রাখা হবে। কৃষকরা যাতে এই সুবিধা পান, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলছে কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং নিরাশার পরিবেশ তৈরি করছে।

কৃষি উন্নতি মেলায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন প্রধাননমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘শস্য উৎপাদনের খরচের মধ্যে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন, কৃষকদের নিজেদের বা ভাড়া নেওয়া যন্ত্রের খরচ, কৃষিকাজে ব্যবহৃত গবাদির খরচ, বীজ ও সারের দাম, সেচের খরচ, রাজ্য সরকারকেও দেওয়া রাজস্ব, মূলধনের সুদ, লিজ নেওয়া জমির ভাড়া এবং সংশ্লিষ্ট কৃষক ও তাঁর পরিবারের লোকজনের পরিশ্রমও ধরা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, সরকার কৃষকদের চাষের খরচ ও পরিশ্রমের খরচ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। তবে কৃষকদের কয়েকটি সংগঠন এর সঙ্গে জমির ভাড়া ও মূলধনের সুদের খরচ দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছে।’

বিদেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানি কমানোর জন্য কৃষকদের আরও তৈলবীজ চাষের অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের মধ্যে ইউরিয়ার ব্যবহার অর্ধেক করারও লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। দূষণ যাতে না ছড়ায়, সেজন্য কৃষকদের ফসল না পোড়ানোরও অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।