নয়াদিল্লি: ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যে বক্তব্য পেশ করেছে, তাকে কটাক্ষ করল কংগ্রেস এবং জেডিইউ।

এদিন ট্যুইটারে কংগ্রেস নেতা মণীষ তিওয়ারি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করে থাকেন, স্রেফ ৫ শতাংশ মানুষ সমস্যার সৃষ্টি করছে, তাহলে ৫০ দিন পার করা সত্বেও এখনও কেন সমস্যার সমাধান সম্ভব হল না? কেন এখনও সেনা প্রত্যাহার করতে পারল না কেন্দ্র?

পাশাপাশি, কেবল নিজের কথা না বলে কাশ্মীরীদের মনের কথাও প্রধানমন্ত্রীর শোনা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিওয়ারি বলেন, কেন স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত? কেন ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত? কাশ্মীর প্রসঙ্গে আবার মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিরপ নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে আক্রমণ করেছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তিনি বলেন, দেশবাসী কাশ্মীরে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি চাইছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তেমন মনে হচ্ছে না।

তাঁর আরও দাবি, মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মাঝে মধ্যেই ‘ইনসানিয়ত’, ‘কাশ্মীরিয়ত’ এবং ‘জামহুরিয়ত’ বলতে থাকেন। কিন্তু, এই শব্দগুলির মানে জানেন না। তিওয়ারি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্যার কেন্দ্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে বুঝতে হবে সেখানে কিছু বাইরের শক্তি রয়েছে। তাদের কাছে পৌঁছতে হবে।

কংগ্রেসের পাশাপাশি মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছে জেডিইউ-ও। দলের নেতা কে সি ত্যাগী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলে সব রাজনৈতিক দল তাঁকে সমর্থন জানাবে। তিনি যোগ করেন, মোদী যখন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন কেউ তার বিরোধিতা করেননি। কিন্তু, কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি কিছুই করেননি বলে দাবি করেন ত্যাগী।

এদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে মোদীকে আক্রমণ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই কংগ্রেসকে পাল্টা একহাত নিয়েছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অন্য বিরোধী দলগুলিও সমর্থন করছে। কিন্তু, কংগ্রেস নিজেদের কায়েমি স্বার্থের জন্য সমালোচনা করে চলেছে। শর্মা জানান, জাতীয় নিরাপত্তা, একতা এবং উন্নয়নের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী সকলকে নিয়েই চলতে পছন্দ করেন। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ফাঁস করার জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলির উচিত এক সুরে সোচ্চার হওয়ার। এটাই নয়।  জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নীতিতেই দায়ী করেন।