তিনি বলেন, গুজরাত সহ দেশের অন্য বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে চলা একই ধরনের আক্রমণের ধারাবাহিকতায় দলিতদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের নানা জায়গায় অতি সম্প্রতি হামলা করা হচ্ছে। এই হিংসার পিছনে আছে আরএসএস, কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তারা মহারাষ্ট্রে দলিত ও মারাঠাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। বিজেপি সদস্যরা তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ করে শোরগোল করতে থাকেন। ক্ষুব্ধ খাড়্গে বলেন, কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ব্যাপারে নীরব? দলিত সংক্রান্ত যাবতীয় ইস্যুতেই সবসময় তিনি চুপ করে থাকেন। উনি মৌনী বাবা হয়ে গেলেন!
সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী অনন্ত কুমার তো বটেই, অন্য বিজেপি সাংসদরাও খাড়্গের কটাক্ষের পাল্টা কংগ্রেস এ নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন। অনন্ত কুমার বলেন, কংগ্রেস রাজনীতি করতে চাইছে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক রাজ্যে ভোটে হেরে এই ইস্যুতে ফায়দা তোলা ওদের লক্ষ্য।
এর প্রতিবাদে কংগ্রেস এমপিরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। 'বাবাসাহেব অম্বেডকরের অপমান বন্ধ করো', 'দেশ বিভাজন বন্ধ করো', 'প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলুন' প্রভৃতি স্লোগান তুলে সরব হন তাঁরা।খাড়্গে বলেন, গুজরাত, মহারাষ্ট্র সহ অনেক রাজ্যেই দলিতদের বিরুদ্ধে হিংসা চলেছে। যেখানেই বিজেপি ক্ষমতায়, সেখানেই দলিতরা আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীকে মহারাষ্ট্রের হিংসার ব্যাপারে সভায় বিবৃতি পেশের নির্দেশ দিতে তিনি স্পিকারকে আবেদন করেন। অভিযোগ করেন, কিছু ফ্যাসিবাদী শক্তি বরাবরই দলিতদের সমাজের একেবারে নীচে ফেলে রাখতে চায়।
স্পিকার সুমিত্রা মহাজন অবশ্য বলেন, আমরা মানুষের প্রতিনিধি। দেশকে রক্ষা করতে হবে আমাদের। একজোট হয়ে নানা চ্যালেঞ্জের সমাধান বের করতে হবে আমাদের। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকলে দেশের সামনে খাড়া হওয়া সমস্যার সমাধান হবে না।