নয়াদিল্লি: বর্ষবিদায়ের রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণার মধ্য দিয়েই ধন্যবাদ দিলেন মানুষকে। বলল বিজেপি। তবে কংগ্রেস যথারীতি মোদীর ভাষণের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, গত ৫০ দিনে নোট বাতিলের পদক্ষেপের মাধ্যমে কত লক্ষ কোটি কালো টাকা সরকার বের করতে পারল, সে ব্যাপারে কেন একটি কথাও শোনা গেল না তাঁর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চূড়ান্ত হতাশাজনক।
বিজেপি মুখপাত্র জি ভি এল নরসিমা রাও বলেন, কালো টাকা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লড়াই যাতে সার্বিক সফল হয়, সেটা সুনিশ্চিত করার জন্য দেশবাসীকে কুর্নিশ করে মহিলা, প্রবীণ নাগরিক, কৃষক ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এভাবেই মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনের পাল্টা প্রতিদান দিলেন তিনি। বিজেপি মুখপাত্রের মতে, মোদীর ঘোষিত একগুচ্ছ পদক্ষেপের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উত্সাহ পাবে, মুদ্রা স্কিমের আওতায় মাইক্রো শিল্পোদ্যোগের পিছনে বরাদ্দ বাড়বে। এতে আর্থিক বৃদ্ধি চাঙ্গা হবে। কৃষিতে বৃদ্ধি অর্জনে চাষিদের সুদ ভর্তুকি বাড়বে।
এদিন মোদীর ভাষণের বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী তাঁর উদ্দেশ্যে দাবিসনদ পেশ করে বলেন, নগদ প্রত্যাহারের ওপর বিধিনিষেধ অবিলম্বে তুলে নেওয়া হোক। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলিকে ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। ট্যুইটারে এই দাবিগুলি জানান রাহুল। পাশাপাশি ডিজিটাল লেনদেনের ওপর থেকে যাবতীয় চার্জও প্রত্যাহারের দাবি তুলে তিনি বলেন, ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদারদের ৫০ শতাংশ বাণিজ্য কর ছাড় দেওয়া হোক।
মোদীর ভাষণে এসব বিষয়ে কোনও উল্লেখ না থাকায় তাঁর তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেন, নোট বাতিলের ধাক্কায় অর্থনীতি বিকল হয়ে গেলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নেরই জবাব মেলেনি মোদীর ভাষণে। বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশবাসীর প্রশ্ন ছিল, কত লক্ষ কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে গত ৫০ দিনে। কেন আপনি একটি কথাও বললেন না! আমরা ওনার ভাষণে হতাশ। কারণ অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। ওনার সিদ্ধান্তে পঙ্গু হয়ে পড়েছে অর্থনীতি, এভাবে দেশ চলতে পারে না।