নয়াদিল্লি: চরণ সিংহ, চন্দ্রশেখর, এইচ ডি দেবগৌড়া, আই কে গুজরাল তাদের সমর্থনে চলা সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেস যা করেছিল, এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গেও সেটাই করছে বলে অভিযোগ করলেন অরুণ জেটলি।
গতকালই কুমারস্বামী প্রকাশ্যে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি খুশি নন, শিবের গরল পানের মতো তাঁকেও যন্ত্রণা গিলতে হচ্ছে!

প্রসঙ্গত, কর্নাটকের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি, যেখানে কংগ্রেস বড় দল।

ফেসবুক পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা দেখেছি কুমারস্বামীর যন্ত্রণা, ক্ষোভ কান্না হয়ে বেরিয়ে আসছে, জলে ভিজে গিয়েছে তাঁর চোখ। তিনি পুষ্পস্তবক, মালা নিচ্ছেন না। তিনি এতটাই পীড়িত যে প্রকাশ্যে কেঁদে দিলেন। একজন সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে আমার হিন্দি সিনেমার ট্র্যাজেডি যুগের ডায়লগ মনে পড়ে যাচ্ছে। এই যদি দুটি দলের জোটের পরিণতি হয়, তবে কোনও আদর্শের মিল না থাকা অনেকগুলি মরিয়া দল ভারতকে কী দেবে? আদর্শহীন সুবিধাবাদী জোট সবসময়ই নিজেদের ভিতরের দ্বন্দ্বেই আটকে পড়ে, টিঁকে থাকাই ওদের একমাত্র লক্ষ্য, দেশসেবা নয় বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
তিনি লেখেন, এমন জোটের প্রধানমন্ত্রীকে যদি ক্যামেরার সামনে শুধু পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বাসনা নিয়ে কাঁদতে হয়, তবে সেটা ইউপিএ ২ এর নীতিপঙ্গুত্বের থেকেও ভয়াবহ হবে। কর্নাটক কি কংগ্রেস ও ফেডেরাল ফ্রন্টের ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির চেহারাটা দেখিয়ে দিল? কংগ্রেস প্রবল ভাবে বিশ্বাস করে একমাত্র একটি পরিবারের সদস্যরাই ভারত শাসন করতে পারেন। অন্য কেউ সুযোগ পেলে তাঁকে এমন জায়গায় ঠেলে দাও যাতে তিনি মরিয়া হয়ে প্রকাশ্যে কান্নায় ভেঙে পড়বেন।
সারা দেশ গত দু মাস ধরেই কর্নাটকের ঘটনাবলীর ওপর সাগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন, বলেন জেটলি। লেখেন, কংগ্রেস চরণ সিংহ, চন্দ্রশেখর, দেবগৌড়া, শ্রী আই কে গুজরালের সঙ্গে কংগ্রেস যা করেছে, এ কি তার পুনরাবৃত্তি? এটা আদর্শহীন সুবিধাবাদী জোটেরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি যাদের কোনও ইতিবাচক এজেন্ডা নেই। এই নেতিবাচক জোটের ভিত হল মোদীকে দূরে রাখো!
প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্নায়ক নেতৃত্বের সুফল স্পষ্ট দেখিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়ে জেটলি লেখেন, মোদী ও তাঁর সরকারকে ভারতের সামনে আসা চ্যালেঞ্জগুলি পেরতে হবে। তাঁকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর মতো ট্র্যাজেডি কিং হলে চলবে না। এমন জোট যদি বিষের পাত্রই হয়, তবে কেন তা দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কেন? দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা অর্থনীতির নেতাকে 'বেচারা' হয়ে থাকতে পারেন না।