নয়াদিল্লি: রাফাল ডিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে রাজ্যসভায় সাসপেনশন অব বিজনেস নোটিস কংগ্রেসের। আজ সংসদের ঊর্ধ্বকক্ষে নোটিস দিলেন কংগ্রেসের উপ নেতা আনন্দ শর্মা। সভার পূর্ব নির্ধারিত কাজকর্ম স্থগিত রাখার নোটিস দেওয়া হয়েছে সভার কাজকর্ম সংক্রান্ত রুলস অব প্রসিডিওর ও কন্ডাক্ট অব বিজনেস অব দি কাউন্সিস অব স্টেটসের ২৬৭ ধারার আওতায়। কংগ্রেসের দাবি, ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে। এর তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি হোক। নোটিসের বক্তব্য, এই সভা রাফাল জেট বিমান সংগ্রহ করায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ওই একতরফা, একপেশে সিদ্ধান্তের ফলে প্রযুক্তি হস্তান্তর, হ্যালকে দিয়ে ১০৮টি যুদ্ধবিমান নির্মাণে ক্ষতি হয়েছে, বিপুল লোকসান হয়েছে দেশের কোষাগারের। কে এজন্য দায়ী, তা স্থির করতে জেপিসি তৈরি করে তদন্ত করতে হবে।
রাফাল কেনায় দুর্নীতি, ডিলে পছন্দের শিল্পপতিদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাহুল গাঁধী। ২০১৯-এ বিজেপির মোকাবিলায় যৌথ কৌশল রচনার জন্য গত সোমবার বিরোধী দলগুলি যে বৈঠকে বসেছিল, সেখানেও আলোচনা হয় রাফাল নিয়ে। রাহুল বৈঠকের পর বলেন, বিরোধী শিবির একমত যে, রাফাল কেলেঙ্কারির তদন্ত হওয়া উচিত।
লোকসভা আজ দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদ, বিক্ষোভের জেরে। রাফাল ডিল, রামমন্দির নির্মাণ ও কাবেরির জল সহ নানা ইস্যুতে উত্তপ্ত হয় সভা। সকালে রাফালে ডিলের জেপিসি তদন্ত চেয়ে কংগ্রেস সাংসদরা, শিবসেনা এমপিরা রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। কাবেরি ইস্যুতে সরব হন এআইএডিএমকে সাংসদরা। সভা মুলতুবি হয়। দুপুরে ফের সভা বসার পর কংগ্রেস, শিবসেনা, টিডিপি, এআইএডিএমকে সদস্যরা নিজেদের দাবিতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। সারা দিনের মতো সভা মুলতুবি করেন স্পিকার।