নয়াদিল্লি: বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের পর এবার কংগ্রেসকে অযোধ্যা নিয়ে আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। গতকাল কংগ্রেস নেতা তথা সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী কপিল সিবল সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি ২০১৯-এর সংসদীয় নির্বাচন পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করলেও তাতে সায় দেননি বিচারপতিরা। কিন্তু সিবালের বক্তব্যকে ইস্যু করে কংগ্রেসকে আক্রমণের সুযোগ ছাড়তে নারাজ বিজেপি।
আজ প্রধানমন্ত্রী গুজরাতের জনসভায় বলেন, এখন রামমন্দিরকে নির্বাচনের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। দেশ নিয়ে ওদের মাথাব্যথা নেই। সিবল আইনজীবী হিসাবে বাবরি মসজিদের পক্ষে সওয়াল করতেই পারেন, সেই অধিকার তাঁর আছে। কিন্তু তা বলে ২০১৯ পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখতে বলতে পারেন কি? কেন ভোটের সঙ্গে রামমন্দিরকে যোগ করার চেষ্টা? এটা কি ঠিক?
গতকাল সিবল শুনানির পিছনোর আর্জি পেশ করে বলেন, বিজেপি বলেছে, আইনি পথেই রামমন্দির হবে ২০১৯-এর আগে। ওরা এটাকে নির্বাচনী ইস্তাহারে ঢোকাতে চায়। ওদের ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয় আদালতের।
সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য তাঁর বক্তব্য মানতে চায়নি। ২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটি মামলার তিন পক্ষ, নির্মোহী আখাড়া, রামলালা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে পেশ হওয়া একগুচ্ছ পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে বলে জানায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা অবশ্য সিবলের বক্তব্য তাঁর নিজস্ব মত বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, অযোধ্যা মামলার ফয়সালা হবে সুপ্রিম কোর্টে, এটাই কংগ্রেসের বরাবরের অবস্থান। গতকাল অমিত শাহ সিবলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী অযোধ্যা নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করুন। তারই জবাব দেন সুরজেওয়ালা।