এবার কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্ন হাত সম্বলিত পোস্টারের ভিডিও বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে দলের স্লোগান- 'সকলের জন্য উন্নয়ণ'। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস।
সিক্রেটস অফ সিলিকন ভ্যালি নামে বিবিসি-র একটি তথ্যচিত্রের অংশ ওই ভিডিও। যে সাংবাদিক ওই তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন তিনি দাবি করেছেন, এই ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা ফটোশপ করা নয়, এ কথা তিনি হলফ করে বলতে পারেন। এ ব্যাপারে তিনি একের পর এক ট্যুইট করেছেন।
ওই সাংবাদিক সিএ-র একটি প্রমোশনাল ক্লিপও ট্যুইট করেছেন, যেখানে নিক্সের সঙ্গে তাঁর অফিসে তাঁকে সাক্ষাত্ করতে দেখা যাচ্ছে। ওই ভিডিও-র শুরুতেই কংগ্রেস দলের পোস্টারটি দেখা গিয়েছে।
এই ভিডিও নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। দলের সভাপতি রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করে তাঁর ট্যুইট- 'ক্যায় বাত হ্যায়, রাহুল গাঁধীদী...কংগ্রেস কা হাত, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কে সাথ!'
বুধবার ক্রিস্টোফার ওয়েইলি জানিয়েছিলেন যে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ভারতীয় শাখা রয়েছে এবং ওই শাখা নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলের আশায় অধুনা বিজেপির শরিক জেডি-ইউ সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ করেছিল।
অ্যানালিটিকার গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমে রয়েছে ভারতের প্রধান দফতর। এছাড়াও আমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, কটক, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, ইন্দোর, কলকাতা, পটনা ও পুনেতে আঞ্চলিক দফতর রয়েছে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার প্রধান কোম্পানি এসসিএল-এর প্রাক্তন আধিকারিক হিসেবে কাজ করেছিলেন ক্রিস্টোফার। তিনি জানিয়েছেন, চুরি করে পাওয়া তথ্যের ব্যবহার করে ভারতের কয়েকটি রাজ্য জাতিগত সমীক্ষার ডেটা তৈরি করা হয়েছিল। ২০০৩-এ সংস্থা ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ভোটের কাজ করেছিল।
ক্রিস্টোফারের ট্যুইট, 'ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমি প্রচুর অনুরোধ পেয়েছি। তাই এখানে এসসিএল কোম্পানির কিছু পুরানো কাজের নথিপত্র শেয়ার করছি। আমাকে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্ন করা হয়েছে, তার উত্তরে বলছি- হ্যাঁ, এসসিএল/সিএ ভারতে কাজ করেছে এবং সেখানে অফিস রয়েছে'।
ক্রিস্টোফারের নথিতে ২০১১-১২ সালে একটি জাতীয় দলের পক্ষে চালানো জাতিগত গণনা ও সমীক্ষাও দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা একটি রাজনৈতির পরামর্শদাতা সংস্থা। অভিযোগ, থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে তারা প্রায় পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়েছে। চ্যানেল ৪ এর স্টিং অপারেশনে জানা গিয়েছে , ২০১৬-র আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহায়তা দিতে এবং ব্রেক্সিট নিয়ে জনমত বদলের ক্ষেত্রে এই তথ্য ব্যবহার করা হয়েছিল।