নয়াদিল্লি: রবিবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল, সম্ভাব্য সম্প্রসারণ ঘিরে কৌতূহলের মধ্যেই তোপ দাগল কংগ্রেস। আগামীকাল যেসব মন্ত্রী বাদ পড়বেন বা মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের আগেই যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বর্তমানে যেসব দুর্নীতির তদন্ত চলছে, সেগুলির কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলল তারা।


কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেন, নির্দিষ্ট ভাবে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের ও তারা কোন কোন দপ্তরের, তা বিস্তারিত জানানো উচিত প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারের। এমন লোকজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত ও মামলার দাবিও করেন তিনি।

সিংভি বলেন, এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে থাকলে তাকে দায়বদ্ধতার অভাব বা আরও সঠিক ভাবে বললে, বেছে বেছে সুবিধামতো দায়বদ্ধতা দেখানো হচ্ছে বলে ধরে নেওয়াই স্বাভাবিক হবে। আমার মনে হয়, সুবিধামতো বেছে বেছে দায়বদ্ধতা দেখানোর অভিযোগ সরকার এড়াতে পারে যদি বিস্তারিত তথ্য সামনে আনা হয়। কিন্তু অবশ্যই ফৌজদারি আইনি পদ্ধতি নেওয়া উচিত।

কেন্দ্র বিরোধী নেতাদের বেলায় দুর্নীতি মামলাগুলির তদন্তে সুবিধাবাদী, পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন সিংভি। বিরোধী নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি কটাক্ষ করেন, আপনি সরকারের কেউ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একজন, শাসক শিবিরের ঘনিষ্ঠ হলে এক ধরনের দায়বদ্ধতা দেখানো হচ্ছে, যা শুরু হয় শূন্য দিয়ে, আর তা না হলে আরেক ধরনের দায়বদ্ধতা যা ১০০ শতাংশও ছাড়িয়ে যেতে পারে।