নয়াদিল্লি: ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি-আরএসএসকে হারাতে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে সহযোগিতা ও একটি অভিন্ন কর্মসূচি তৈরির ব্যাপারে বাস্তববাদী মনোভাব দেখাতে হবে। বিজেপিকে টক্কর দিতে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করে ঐকমত্য গড়ে তোলার কথা বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে কংগ্রেস। সেই সুরেই শনিবার শুরু হওয়া কংগ্রেসের ৮৪-তম প্লেনারি অধিবেশনে গৃহীত হল একটি প্রস্তাব। তাতে বিজেপি-আরএসএসের তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়েছে, দেশের মৌলিক সাংবিধানিক মূল্যবোধগুলি আক্রান্ত, স্বাধীনতা বিপন্ন হতে বসেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি চাপে পড়ছে, তাদের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।
মল্লিকার্জুন খাড়্গের পেশ করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুনরুজ্জীবিত কংগ্রেসই একমাত্র পারে দেশের প্রতিষ্ঠাতারা যে ভারতের ভাবনার স্বপ্ন দেখতেন, তাকে ফের জীবন্ত করে তুলতে।
সংবিধানের মর্মবস্তুকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় বলিদান দিতে কংগ্রেস তৈরি বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবে, বলা হয়েছে, বিজেপি ভারতবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। বিজেপি শাসনে যে একের পর এক বিচ্যুতি হয়েছে, তা থেকে দেশের রাজনীতিকে মুক্ত করে শুদ্ধ করে তুলব আমরা।
কংগ্রেস কর্মীদেরও বর্তমান পরিস্থিতির দাবি অনুসারে তৈরি হয়ে সাধারণতন্ত্র ও সাংবিধানিক গণতন্ত্রের কাঠামোগত মূল্যবোধকে রক্ষার ডাকও দিয়েছে নেতৃত্ব। কংগ্রেসের প্রস্তাবের বক্তব্য, দেশ এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে এখন। দেশের সামনে বিপদ হিসাবে এসেছে বিভেদকামী, আধিপত্যবাদী, বিশৃঙ্খলাকারী শক্তিগুলি। কিন্তু কংগ্রেস তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে দেশবাসীর পাশে থাকতে দায়বদ্ধ। সেই ইতিহাস, ঐতিহ্যে প্রতিফলন ঘটেছে বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা ও বহু ধর্মের ভারতের।
প্রস্তাবের দাবি, বিজেপি শাসনে দেশবাসী, সে তাঁরা কৃষক, শ্রমিক, অসংগঠিত কর্মী, স্বনিযুক্ত মানুষজন, সংখ্যালঘু, দলিত, গরিব, যাই-ই হোন, সবাই প্রতারিত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক কালে বিজেপি কংগ্রসের ঘর ভাঙানোর যে কৌশল নিয়েছে, তার মোকাবিলায় অধিবেশনে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে যে, দলত্যাগীদের ৬ বছর ভোটে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ হোক যাতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অর্থের অপব্যবহার রোধ করা যায়।