নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় পি চিদম্বরমকে দৃঢ় ভাবে সমর্থন করায় কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব। আদালতে তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন কপিল সিবাল, তাঁকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন সলমন খুরশিদ, অভিষেক মনু সিংভির মতো প্রথম সারির আইনজীবীরা, যাঁরা কংগ্রেস আমলে কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বপদে রয়েছেন। চিদম্বরমের পাশে দাঁড়িয়ে রাহুল দাবি করেছেন, মোদী সরকার চরিত্র হননের রাজনীতি করছে। প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা, ভুল-ত্রুটি জনসমক্ষে ফাঁস করার জন্যই ‘শিকার ধরার মতো’ আচরণ করা হচ্ছে!
পাল্টা বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির কটাক্ষ, কংগ্রেস নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলছে। দুর্নীতিকে বিপ্লবের চেহারা দিয়েছে ওরা। এই প্রথম দুর্নীতি একটা বিপ্লবে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিপ্লব ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আজ বিপ্লব করা হচ্ছে দুর্নীতির সমর্থনে!
দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করায় গতকাল রাতে দিনভর টানটান নাটকের পর রাজধানীর জোড়বাগে পাঁচিল টপকে তাঁর বাসভবনে ঢুকে তাঁকে হেফাজতে নেন সিবিআই অফিসাররা। গতকাল অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর পিটিশনের শুনানি হয়নি সুপ্রিম কোর্টে।
চিদম্বরমের প্রতি বিজেপি সরকারের ভূমিকার নিন্দা করে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, সিবিআই, ইডি-কে ‘ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানোর দপ্তর’ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের হত্যা দেখল ভারত, এমনই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তাঁর বক্তব্য, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় অনেক অভিযুক্তকেই এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, কিন্তু একজন শীর্ষ রাজনীতিককে কোনও আইনি ভিত্তি ছাড়াই গ্রেফতার করা হল।
পাল্টা নকভি বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী এজেন্সিগুলি তাদের কাজ করবে, আদালতও তার কাজ করবে। কিন্তু কংগ্রেস, তাদের নেতারা দুর্নীতিকে বিপ্লবে পরিণত করার চেষ্টা করছেন।