নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ কিছু মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার ইস্যুতে বিপাকে কংগ্রেস। রাজ্যসভায় সোমবার কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের ওই ধারা রদের পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু তাতে কার্যত জল ঢেলে ৩৭০ ধারা, জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাজনের ইস্যুতে নিজের দলের অবস্থানে বিরুদ্ধে গিয়ে রাজ্যসভা ছাড়লেন কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের মুখ্য সচেতক ভুবনেশ্বর কলিতা। তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি (সপা) সদস্য সঞ্জয় শেঠও রাজ্যসভা থেকে আজ ইস্তফা দেন।


আজ জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও রাজ্যকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির আগেই কলিতা ইস্তফা দেন। তিনি কংগ্রেসের ৩৭০ ধারা বাতিল, জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতার বিপরীত অবস্থানে গিয়ে এক চিঠিতে বলেন, আমাকে দল বলেছিল হুইপ জারি করতে। কিন্তু এটা সারা দেশের মানুষের মুডের পরিপন্থী। দল যথারীতি ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু আমি তাতে সামিল হতে পারছি না। ২০২০-র ৯ এপ্রিল তাঁর রাজ্যসভা সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

কলিতা অসম থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৪র মধ্যে তিনি অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
এই নিয়ে কংগ্রেসের দুজন সাংসদ রাজ্যসভা ছাড়লেন। দিনকয়েক আগেই সাবেক অমেঠির রাজ পরিবারের প্রতিনিধি কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় সিংহ ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। কলিতা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কয়েকদিন বাদেই জানাতে চলেছেন। তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি।
কংগ্রেস নেতারা এদিন ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে দেশের সাংবিধানিক ইতিহাসে কালো দিন আখ্যা দেন। তাঁদের অভিযোগ, সংবিধানের ধারাগুলির অপব্যাখ্যা করে সরকার এই পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।