নয়াদিল্লি: শিক্ষার ক্ষেত্রে সেন্সরশিপের আশঙ্কা শিক্ষামহলে। সেই আশঙ্কা আরও জোরাল হল বিজেপি নেতা রাম মাধবের ট্যুইট থেকে। ওই ট্যুইট আবার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে। ওই ট্যুইটে দোষারোপ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আচার্য অমর্ত্য সেনকে। রাম মাধব ট্যুইট করেন যে, অমর্ত্য সেনের আমলে ‘পলিটিক্স অফ যোগা’ (যোগের রাজনীতি) নামে একটি কোর্স চালু হয়েছিল এবং একজন বিদেশী অধ্যাপক এ ব্যাপারে পড়াতেন জেনে  স্তম্ভিত। সেই কোর্সটির এখন বিলুপ্তি ঘটানো হয়েছে।





কিন্তু জানা গেছে, ওই কোর্সটির নাম ‘যোগের রাজনীতি’ নয়, 'যোগের ইতিহাস ও রাজনীতি' (হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিক্স অফ যোগা)।

এছাড়াও ওই কোর্সটি অমর্ত্য সেনের আমলে চালু হয়নি বলেও জানা গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই কোর্স শুরু হয়েছিল। অর্থাত্ অমর্ত্য সেনের বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর পর ওই কোর্স চালু হয়।

অমর্ত্য সেনের পর নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জর্জ ইয়েও। তিনিও গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে মোদী সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে পদ ছেড়েছিলেন।

নরেন্দ্র মোদী সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিচালক বোর্ড গঠন করেছে, সেখানে নোবেল পুরস্কার জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের আমলের কোনও সদস্যই নেই। নয়া বোর্ডের আমলেই মাধবের ট্যুইটে উল্লিখিত কোর্সটি চালু হয়েছিল।

ওই কোর্স যিনি পড়াতেন সেই প্যাট্রিসিয়া সাউদফ সম্পর্কে রাম মাধবের বিদেশী সংক্রান্ত মন্তব্য খারিজ করেছেন দেশের প্রখ্যাত যোগ বিশেষজ্ঞরাই। সাউদফ একজন মার্কিন ডক্টরাল স্কলার। তিনি বর্তমানে লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্ট্যাডিজে পিএইচডি করছেন।