রায়পুর: রিসর্টের জন্য বনভূমি বিক্রি। ক্রেতা আর কেউ নন, মন্ত্রী-পত্নী। ফলে, হাত গুটিয়ে নিয়েছে বন দফতর। যা ঘিরে শুরু বিতর্ক। ঘটনাস্থল ছত্তিশগড়।


অভিযোগ, ২০০৯ সালে ছত্তিশগড়ের মহাসামুন্দে একটি ধর্মীয়স্থল নিকটবর্তী জঙ্গলের একফালি অংশ বেআইনিভাবে কিনেছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ব্রিজমোহন অগ্রবালের স্ত্রী সরিতা।


এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করে মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। যদিও, ব্রিজমোহন সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দেন, জমিটি এক কৃষকের থেকে সব আইন মেনেই কেনা হয়েছিল।


কৃষক সংগঠনের নেতা ললিত চন্দ্রনাহু জানান, তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, জালকি গ্রামের বাসিন্দা সরিতা বনাঞ্চলের ৪.১২ হেক্টর জমি কেনেন।


যদিও, সরকারি নথি অন্য কথা বলছে। জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে বিষ্ণু শাহু সহ জালকি গ্রামের ৬ বাসিন্দা ওই জমি রাজ্যের জলম্পদ উন্নয়ন দফতরকে এই ৪.১২ হেক্টর জমি দান করেছিলেন। সেই সময় জমিটি মধ্যপ্রদেশের আওতায় ছিল।


পরবর্তীকালে, মহাসামুন্দে একটি সেচ প্রকল্পের সময় কিছু বনভূমি ডুবে গেলে, এই বিতর্কিত জমি সহ মোট ৬১.৭ হেক্টর জমি বন দফতরকে দেয় জলম্পদ উন্নয়ন দফতর। কিন্তু, জমির মিউটেশন বা মালিকানা পরিবর্তন করা হয়নি। ফলত, ভূমি রাজস্ব দফতরের নথি অনুযায়ী, এখনও জমিটি শাহু ও অন্যান্যদের নামেই রয়ে গিয়েছ।


এর মধ্যে ২০০৯ সালে শাহুদের থেকে ৪.১২ হেক্টর জমি কেনেন সরিতা। সেখানে বর্তমানে শুরু হয়েছে রিসর্ট তৈরির কাজ। এই প্রসঙ্গে অগ্রবাল বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্যই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।


তাঁর দাবি, রাজস্ব নথিতে জমির মালিকানা শাহুর নামে ছিল। তিনি তা দেখেই কিনেছেন। এমনকী, নির্বাচনী হলফনামায় স্ত্রীর নামে এই জমির উল্লেখ করেছেন তিনি বলে জানান অগ্রবাল।


এদিকে, জমি বিতর্কে মহাসামুন্দের কালেক্টরের কাছে গত বছর অভিযোগ জমা পড়ে। এদিন কালেক্টর হিমশিখর গুপ্ত জানান, জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের আন্তঃবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়।


কমিটি জানায়, জমি কৃষকরা দান করলেও, মিউটেশন না হওয়ায় এই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা তাদের সুপারিশ করেছে এই সমস্যার সমাধানে ভবিষ্যতে কী করা যায়।