নয়াদিল্লি: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুলিশকে জুতো, অস্ত্র নিয়ে ঢুকতে নিষেধ করল সুপ্রিম কোর্ট। জগন্নাথ মন্দিরে গত ৩ অক্টোবরের হিংসা, অশান্তির প্রেক্ষিতে বিষয়টি তাদের নজরে আনা হলে এই নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।


মন্দিরে ভক্তদের জন্য কিউ সিস্টেম চালুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের সময় হিংসা, অশান্তি হয়। ৯ জন পুলিশকর্মী জখম হন। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করে একটি সংগঠন। তাদের কৌঁসুলি অভিযোগ করেন, হিংসা, গণ্ডগোলের সময় পুলিশ বন্দুক, পায়ে জুতো নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেছিল। তিনি মন্তব্য করেন, শেষবার স্বর্ণমন্দিরে সেনাবাহিনী ঢুকেছিল, আমরা জানি। বেঞ্চ এতে প্রতিক্রিয়া দেয়, স্বর্ণমন্দিরের সঙ্গে এর তুলনা করবেন না।
বিচারপতি মদন বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ওড়িশা সরকারের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, পুলিশ ওখানে জুতো পরে, বন্দুক নিয়ে ঢুকেছিল, এটা কি ঠিক। তিনি অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে খারিজ করে জানান, কোনও পুলিশকর্মী মন্দিরে প্রবেশই করেননি, কারণ বিক্ষোভ, অশান্তি হয়েছিল শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের অফিসে যা মূল মন্দির থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে। অশান্তির সময় ওই অফিসে হামলা হয়, ৪৭ জনকে এ ব্যাপারে গ্রেফতার করা হয়েছে এপর্যন্ত। মন্দির প্রশাসনের আইনজীবীও বেঞ্চকে জানান, কোনও পুলিশকর্মী মন্দিরে ঢোকেননি। মারমুখী জনতা তাঁদের অফিসে চড়াও হয়ে সেখানকার প্রচুর নথিপত্র নষ্ট করে।
বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আইনজীবীদের আদালতের হস্তক্ষেপের যে আবেদন পেশ হয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে বলে। সরকারের আইনজীবীকে বলে, আপনাদের জবাব পেশ করুন। পুলিশকে বলুন, বন্দুক, জুতো নিয়ে যেন মন্দিরে না যায়। ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত।

মন্দির প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, কিউ সিস্টেম পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে, স্থানীয় মানুষ ও সেবায়েতরা এর বিরোধিতা করায় তা রিভিউ করা হবে।